হলদিয়া: ফিরল কেদারনাথের (Kedarnath) স্মৃতি! উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ফের তুষার বিপর্যয়। যাতে নিখোঁজ এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড়শোর বেশি মানুষ। যদিও এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাত (Rainfal) না হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের (Weather Office) পক্ষ থেকে। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে উদ্ধারকারীর দল। ঘটনাস্থল ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah)। কিন্তু এই মুহূর্তে দিল্লিতে (Delhi) নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। হলদিয়ায় (Haldia) এক সরকারি কর্মসূচির জন্য গতকাল, রবিবার (Sunday) তিনি এ রাজ্যে এসেছেন। তবে সেখান থেকেই উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ‘আমি উত্তরাখণ্ডের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে সারা ভারত। সবাই যাতে নিরাপদে থাকে, তার জন্য সারা দেশ প্রার্থনা জানাচ্ছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছি এবং এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা, উদ্ধারকার্য এবং ত্রাণের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, বহু ঘরবাড়ি ভাসিয়ে ভয়াবহ তুষার ধস উত্তরাখণ্ডে। নতুন বছরের ১২ মাসের দ্বিতীয় মাস শেষ হয়নি এখনও। তার মধ্যেই ভয়াবহ ধ্বংসলীলার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। গতকাল, রবিবার সকালে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে যায়। যা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে গোটা উত্তরাখণ্ড জুড়ে। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় বিশাল আকারের বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ প্রায় ১৫০ জন মানুষ। ভেসে গিয়েছে অগুনতি বাড়ি-ঘর।
হিমবাহ বিরতির ফলে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। পাহাড়ের নিম্নভূমি বন্যায় ভেসে যাওয়ায় সেই জল ধীরে ধীরে ঢুকতে থাকে প্রান্ত সীমানাগুলিতে। অবস্থা ভয়াবহ বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ায় হয় আসেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষজনকে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা দিয়েছেন । তিনি আরও জানান, গঙ্গার আর একটি শাখা আলাকানন্দার জলের স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে এক মিটার ওপরে হলেও প্রবাহ ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকল জেলাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশেও।