“হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল সবার ঘরে ঘরে”, বিজেপিকে পাল্টা স্লোগান মমতার
আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মুর্শিদাবাদে একটি জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন
একুশে নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণোদ্যমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। শাসক দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে একটি জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন। সেই জনসভা থেকেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে কটাক্ষ করেছেন। তিনি একাধারে বাংলা গেরুয়া শিবির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে বলেছেন, “কেউ কোনদিন শুনেছেন যে কোন দেশের প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যা কথা বলেন? তবে মোদি জি বাংলায় এসে যা বলেছেন তা সবই মিথ্যে। তিনি বলেছেন সরকারি কর্মচারীরা নাকি বেতন পাচ্ছেন না। এটা মিথ্যে কথা। দিনের পর দিন তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।” একসাথে তিনি যোগ দিয়েছেন, দেশের মানুষ বুঝতে পেরে গেছে যে বিজেপিকে ভোট দিয়ে তারা কত ভুল করেছেন। তিনি গেরুয়া শিবির কারো কটাক্ষ করে বলেন, “বহিরাগত সব নেতারা বাংলা দখলের চেষ্টা করছে। অথচ ওরা কেউ বাংলার মনীষীদের নাম জানেন না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তা জানেনা। বাংলার মানুষ তাদের সংস্কৃতি কোনদিন ভোলেনি বা পরেও ভুলবে না। বাংলার শিখর না জেনে বাংলা দখল করার চেষ্টা ব্যর্থ হবে গেরুয়া শিবিরের।”
এছাড়া আজ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে পাল্টা দিতে নতুন স্লোগান তুলেছেন, “হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল সবার ঘরে ঘরে।” এছাড়াও আজ মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে তিনি দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “যারা দল ছেড়েছেন ভালো করেছেন। সঙ্গে থেকে বেইমানি করার থেকে চলে যাওয়া ভালো।” এছাড়া অমিত শাহের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ চার্টার্ড বিমানে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেছেন, “চোর-ডাকাতদের বিমান করে নিয়ে যাওয়া হয় অথচ করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারেনি কেন্দ্র সরকার।”