দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজেই। তদন্তের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রি সভা। বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে এইবার হাই কোর্টে ধাক্কা খেল বাংলা সরকার। আদালত জানতে চায়, কিভাবে নিয়োগ হয়েছে? মেধাতালিকারইরা কী অবস্থা? ৪ মার্চের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
ভোটের মুখে বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গেরুয়া শিবিরে দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। এরপর তার আমলে বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করেন নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আলিপুরদুয়ারে জনসভায় নাম না করে বলেন, ‘আমি জানি যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে দলে গিয়েছে, কিন্তু তারা আমাদের সাথে ছিল। বন সহায়তা স্কিমে আমাদের সাথে থাকা একজন নেতা কারসাজি করেছেন। আমার কাছে অনেকেই সেই অভিযোগ এনেছেন।” এমন কি ঘোষণাও করেছেন, যে নির্বাচন ঘোষণা হলেও তদন্ত চলবে। যে দিন বন সহায়ক পদ নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ দেয় রাজ্য মন্ত্রিসভা, সেই দিনই প্যানেল বাতিলের দাবিতে SAT এর মামলা করেন বেশ কয়েকজন কর্মপ্রার্থী। এই বার সেই মামলা গড়াল হাইকোর্টেও।
বন সহায়ক পদে নিয়োগের পরীক্ষার বসেছিলেন মালদহের কৌশিক ঘোষ-সহ আরও বেশ কয়েকজন। নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছেন তাঁরা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই এদিন রাজ্যেকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল আদালত। গত বছরের নভেম্বরে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল বন দপ্তর। ইন্টারভিউ পর্ব শেষে সফল কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হয় বন সহায়ক পদে।