“কে প্রার্থী দেখবেন না, সব কেন্দ্রে আমি প্রার্থী”, ২০১৬ স্ট্র্যাটেজিতে ভর করে বার্তা মমতার
২০১৬ সালের মাস্টার স্ট্রাটেজি নিয়ে এবার কি মমতার ঘাসফুল শিবির গেরুয়া শিবিরকে পরাজিত করতে পারবে?
একুশে বিধানসভা নির্বাচন শিয়রে এসে উপস্থিত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল পূর্ণ উদ্যমে ভোট প্রচারের কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। দলবদল ইস্যুতে জর্জরিত ঘাসফুল শিবিরকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে দলের জন্য প্রচার করছেন। আসলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সেই লড়াইয়ে জিততে মুখ্যমন্ত্রী আবারও এই বছরে ২০১৬ সালের স্ট্র্যাটিজি নিতে চলেছেন। কি মুখ্যমন্ত্রী সেই মাস্টার স্ট্যাটিজি?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মালদার একটি জনসভায় উপস্থিত থেকে সরাসরি বার্তা দিয়েছেন, “কে প্রার্থী হল সেটা দেখার দরকার নেই। এই ভোট আমার ভোট। রাজ্যের মোট ২৯৪ টি আসনের প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবো আমি।” কিন্তু কেন এমন বললেন মুখ্যমন্ত্রী? আসলে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে বিরোধীরা অব্দি সবাই জানে বাংলার মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অন্যান্য সবার থেকে অনেক বেশি। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বিধানসভা নির্বাচনে এক্স ফ্যাক্টর এর মত কাজ করে যেতে পারে ২০১৬ সালের মতো।
এছাড়াও বর্তমান শাসকদল দলবদল ও দলীয় নেতাদের দলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তোলার সমস্যায় জর্জরিত। এই মুহূর্তে অনেক তৃণমূল নেতা-কর্মী সারোদা নারোদা ইত্যাদি চিটফান্ড মামলায় জড়িয়ে আছে। এর আগেও যখন ২০১৬ সালে গোটা দল প্রায় নারদা কাণ্ডে জড়িত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে ২৯৪ কেন্দ্রের প্রার্থী বলে ভোট বৈতরণী পার করে দিয়েছিল। সেইমতো চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো স্ট্যাটিজি নিয়ে বাংলায় জয়লাভ করার পথ প্রশস্ত করতে চাইছে।