কলকাতা: নয়া দাওয়াই! নির্বাচনের (Election) আগে বাংলায় মানুষের ঘরে পৌঁছে যেতে মমতার সরকার (Mamata Govt) চালু করেছিল ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarker) প্রকল্প। ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে কয়েক কোটি পরিবারের দরজায় ইতিমধ্যে পৌঁছেও গেছে রাজ্য সরকার (State Govt)। জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) কার্ডও। যদিও স্বাস্থ্যসেবায় এই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে টালবাহানা চলছে অনেক দিন ধরেই রাজ্যের সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালগুলির। আর তাই নার্সিংহোমগুলিকে (Nursinghome) বিশেষ সুবিধা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার, যাতে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে কোনও রুগী গেলে তাদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’-র সুবিধা দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠছিল বেসরকারি নার্সিংহোম গুলি কার্ডের বিনিময়ে চিকিৎসা দিতে চাইছে না। হয়রানি হয় সাধারণ মানুষের। সেই মুদ্দায় দফায় দফায় বৈঠক হয় রাজ্যের সঙ্গে বেসরকারি নার্সিংহোম গুলির। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার ঘোষণা করলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দিলে হাসপাতাল বা নার্সিংহোম সম্প্রসারণে বাড়তি সুবিধা দেবে কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার একথা ঘোষণা করেছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্যু প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে মা মাটি মানুষের সরকার গ্রহণ করেছেন একাধিক প্রকল্প।
ক্ষমতার দ্বিতীয় দফা শেষের আগে সাধারণ জনগণের জন্য শুরু করেছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। প্রতিদিনের হিসেবের নিরিখে জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই প্রকল্পের। দিন কয়েক আগেই এই প্রসঙ্গে কলকাতার ৩২টি নার্সিংহোমের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই উঠে আসে সাস্থ্যসাথী ওয়ার্ডের পরিকল্পনা। নার্সিংহোম পক্ষ জানিয়েছিল অনুমতি লাগবে বাড়তি ফ্লির তৈরিতে। স্বাস্থ্য দপ্তরের অনুমতি না পেলে সম্ভব নয় এই ব্যবস্থা।
তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ইতিবাচক ইঙ্গিত বয়ে আনেন পুরমন্ত্রী। তিনি জানাচ্ছেন মানুষের সুবিধার জন্য সবরকম ভাবে কাজ করবে রাজ্য সরকার। বেশি সংখ্যক বেডের জন্য দরকার অতিরিক্ত ফ্লোর। এবার সেই মির্মেই আইন আনা হবে। নতুন ফ্লোর হলে শুধু রোগীর আসন সংখ্যা বাড়বে তাই নয়, বাড়বে কর্মসংস্থান। কিছু মানুষ কাজও পাবেন এতে। পুরমন্ত্রীর এই তৎপরতা এবং সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বেসরকারি হাসপতালগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া।