বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর: হিংসা আর জবরদখলের রাজনীতি (Popitics)! একদিনে প্রকাশ্যে আসা জোড়া খুনের ঘটনার সাক্ষী থাকছে রাজ্য। দুই ঘটনাতেই স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠছে দুই পৃথক দলের বিরুদ্ধে। রাজ্যে নির্বাচন (State Election) আসতে দেরি আছে এখনও কয়েক মাস। এমনকি নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ হয়নি এখনও। তারমধ্যেই রাজনীতির অলিন্দে শুরু হয়ে গেছে জোর অদলবদল। ভোট আসতেই মানুষ মিলিয়ে নিচ্ছেন পুরনো হিসেব নিকেশ। উঠে আসছে পুরনো রাগ। এসবের মধ্যেই আজ, সোমবার (Monday) রাজ্যে দুই জায়গায় খুনের খবর উঠে এসেছে দুই পৃথক দলের কর্মীর। গতকাল, রবিবার (Sunday) রাতে বর্ধমানে (Burdwan) ক্লাবের দখল নিয়ে বিবাদের জের গড়িয় পড়ে খুন পর্যন্ত। পিকনিকের মধ্যেই অন্য এক গোষ্ঠী ক্লাবের দখল নিতে চাইলে বিবাদ বাঁধে। ঘটনায় খুন হন তৃণমূল কর্মী (TMC Leader) তথা ক্লাবেরই প্রাক্তন সম্পাদক মহম্মদ আকবর (Mohammad Akbar) ওরফে কালোকে। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
সূত্রের খবর, ‘জোনাকি সঙ্ঘ’ এর অধিগ্রহণ নিয়ে বিবাদের ফল। দীঘা ভ্রমণের জন্য ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রচার চালাচ্ছিল আকবরেরা। তাতে বাধা দিতেই মুন্না নামক একজনের অনুগামীরা এসে হামলা চালায়। মুন্ননা এই মুহুর্তে বিজেপির বলে দাবী করছেন সেখনকার মানুষ। যদিও বিজেপি এই ঘটনায় ন্নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পুর্ণ নস্যাৎ করেছে। কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি মুন্নার তরফে।
একইদিনে আরও একটি খুনের ঘটনার সাক্ষী রাজ্য। সিপিএম কর্মী খুনে এবার অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা এরিয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। সূত্রের খিবর রবিরার রাতে রফিক আলম নামের ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে দেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। সোমবার সকালে ঝোপের ধারে পয়ায়া যায় লাশ। দেহ শনাক্ত করে স্থানীয়রাই। মৃতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযোগের তীর উঠেছে তৃণমূলের দিকে। সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাঁর দাবি, রফিককে যারা খুন করেছে অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফের বয়ানে জানানো হয়েছে এই ঘটনায় কোন হাত নেই তাঁদের।