একুশে নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে শেষ কিছুদিনে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি তাদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিতে চাইছে। সেই সাথে চলছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। যতদিন এগিয়ে আসছে ততই বাংলায় বাড়ছে ভোটের উত্তাপ। সভা মিটিং মিছিল ও বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মসূচি নিয়ে একপ্রকার সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। এরইমধ্যে সরস্বতী পূজার আসরে লাগলো রাজনীতির রং। কোথাও স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর আদলে তৈরি হয়েছে পূজা মন্ডপ। আবার কোথাও মন্ডপের মাইকে ভেসে আসছে তৃণমূলের “খেলা হবে” গান।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আবার কোথাও এমনি মজার ছলে সরস্বতী পুজো আয়োজকরা খেলা হবে গান চালিয়েছে। বিভিন্ন ভিডিওতে তা ধরা পড়েছে এবং সেই সব ভিডিওতে রাজনীতির উর্ধ্বে থাকা খুদেরাও তারিয়ে উপভোগ করেছে। তারা খেলা হবে গানে তুমুল নেচেছে। এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সম্পাদক চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম কি প্রকল্প গুলি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে বাংলার মানুষের মধ্যে। নির্বাচনী দামামা বাজাতে বাংলার মানুষের কাছে এখন ফেভারিট খেলা হবে গান। মানুষের ভালো লেগেছে তাই তারা মণ্ডপে খেলা হবে গান বাজিয়েছে।
অবশ্য পুজোর মন্ডপে রাজনৈতিক গান নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন কুলটির মন্ডল বিজেপি সহ-সভাপতি সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ক্লাব গুলিকে দান দিয়ে তাদের কিনে নিয়েছে। তাই তার অনুরাগীরা সব মাইকে রাজনৈতিক গান বাজাচ্ছে। তবে গান বাজিয়ে নির্বাচনে জেতা যাবে না। আসল খেলা খেলবে জনগণ আর ইভিএম।”