রাজীব ঘোষ: কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর সরকারের পক্ষ থেকে সেখানকার মানুষদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।ইতিমধ্যে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে বহুবার ভারতের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি।বরং বিশ্বের প্রায় সব দেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়।ফলে পাকিস্তানের অভিযোগে কোনো কাজ হয়নি।ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কাশ্মীরকে ব্যবহার করে যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতো সেটা একরকম প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।এই অবস্থায় শনিবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাসবাদী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আক্রমণ থেকে কাশ্মীরের মানুষকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা সতর্ক রয়েছেন।এই মূহুর্তে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় যাতে কাশ্মীরের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি দলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, সিপিআই নেতা ডি রাজা,এনসিপি নেতা মজিদ মেনন সহ অন্যান্য কিছু নেতৃত্ব রয়েছেন।এর আগে কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে প্রশাসন আটকে দিয়েছিল।সেই সময় কাশ্মীরে কারফিউ জারি ছিল।গুলাম নবি আজাদ যেতে চাইলে তাকে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও সেই সময় তার দলের বিধায়ক ইউসুফ তারিগামিকে দেখতে গিয়েছিলেন।তখন প্রশাসন তাকেও যেতে নিষেধ করেছিল।জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিরোধী প্রতিনিধি দলের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, শ্রীনগরে এসে মানুষকে সমস্যায় ফেলবেন না।প্রবীণ নেতাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে সমস্যা তৈরী হতে পারে।প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য বলা হচ্ছে।কাশ্মীরে শান্তিরক্ষা এবং মানুষের জীবন রক্ষা করা এখন সবার আগে।কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত করা উচিত নয়।শনিবার যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা কাশ্মীরে যেতে চাইছেন তাদের প্রশাসন বিরত থাকার অনুরোধ করে বলেন, অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন।