কলকাতা: কয়লাকাণ্ডের শেষ খুঁজতে প্রথমে মাথাকে টেনে আনতে চাইছে CBI। অনেকদিন ধরেই কয়লা এবং গরু পাচারের রাশ টানতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাধিক নোটিসেও কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না চক্রের মাথা অনুপ (Anup) ওরফে লালার (Lala)। কয়লাকান্ড নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে তল্লাশি। বিতর্কও হয়েছে অনেক। CBI অনুপ মাঝির নামে গ্রেফতারি পরোয়াবা আনলে তার উকিল কোর্টে (Court) পিটিশন জমা করে, রাজ্যের রেলের (Rail) এরিয়াতে কোনোভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রাজ্য প্রশাসন সেই দায়িত্ব তুলে দেয় CID এর হাতে। কিন্তু কোর্টের ঘুরিয়ে দেয় সেই মোড়। কোর্টের রায়ে তদন্তের ভার ফের ঘুরে আসে CBI এর হাতে। কয়লা পাচার কাণ্ডের জেরে গত বছরের শেষ দিকে থেকেই অনুপ মাঝিকে নোটিস দিচ্ছে আদালত। কিন্তু বারবার নোটিস পাঠানোর পরেও আদালতে হাজির দেননি তিনি। জানুয়ারির ১৪ তে CBI এর একটি দল পুরুলিয়ার লালা বাড়িতেও হানা দেন।
কিন্তু সেখানেও লালকে পাওয়া যায়নি। হদিস মেলেনি রত্নেশ এরও। তার পরই CBI লালার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা আনে। চলতি মাসেই এই নিয়ে অনুপ মাঝির উকিল কোর্টে আবেদন জানান, এবং জানান রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কিন্তু আদালতের ফের ক্ষমতা হতে তুলে দেয় CBI এরই। সেই মর্মে বিচারক জয়শ্রী বন্দোপাধ্যায় ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দুজনকেই হাজিরা দিতে বললেও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা।
বার বার অনুপস্থিতিতে আরো কঠিন হচ্ছিল মামলা। সক্রিয় ভাবে তদন্ত শুরু করে এবার মেন অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা এবং তাঁর সঙ্গী রত্মেশ ভর্মার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের বিশেষ আলদালোতের কাছে আবেদন জানিয়েছে CBI। যদিও এখনও কোনো রায় দেয়নি ওই আদালত তবে চাওয়া হয়েছে তাঁদের সম্পত্তির পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য।