অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। শুক্রবার হাসপাতালের পথে রওনা হলেন করিনা কপূর খান (kareena Kapoor khan)। সঙ্গে ছিল তৈমুর (taimur)। জানা গেছে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন করিনা। জ্যোতিষীর গণনা অনুযায়ী কন্যাসন্তানের জন্ম হবে পতৌদি বংশে। কিন্তু করিনা ও পরিবারের সদস্যরা আপাতত চান, করিনা ও নবজাতক বা জাতিকা যে-ই জন্ম নিন , তিনি যেন সুস্থ থাকেন। ইতিমধ্যেই রণধীর কাপুর (Randhir kapoor), ববিতা (babita), করিশমা কাপুর (karishma kapoor) এবং করিশমার কন্যা সামাইরা (samaira) মুম্বইয়ের বিখ্যাত মাউন্ট মেরি চার্চে প্রার্থনা করেছেন করিনা ও নবজাতকের জন্য। কিন্তু কাপুর ও পতৌদি পরিবারের তরফে এবার প্রকাশ করা হবে না নবজাতকের ছবি। করিনা ও সইফ জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা তাঁদের পরিবারের নতুন সদস্যকে মিডিয়ার থেকে দূরে রাখতে চান।
চলতি মাসেই বান্দ্রার ‘সদগুরু স্মরণ’ নামে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস শুরু করেছেন সইফ, করিনা ও তাঁদের প্রথম সন্তান তৈমুর (taimur)। তাঁদের নতুন অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন করিনা। গাঢ় নীল রঙের প্যান্ট ও ধূসর টপে ‘উড বি মম’ করিনার বেবি বাম্প স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।
কিছু দিন আগে দিদি করিশমা কাপুর(karishma kapoor)- এর সঙ্গে ফটোশুট করেছেন করিনা। এবার রেডিও মিরচির একটি অনুষ্ঠানে কালচে নীল রঙের বডি হাগিং ড্রেসে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে ছবি তুললেন করিনা। মাতৃত্বের সৌন্দর্যে অনন্যা লাগছিল করিনাকে। তারও কিছু দিন আগে তিনি তাঁর বেবি বাম্পের ছবি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গোলাপি রঙের ওয়ার্কআউট ড্রেসে করিনার বেবি বাম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ অবশ্য করিনাকে ট্রোল করতে ছাড়েননি। অনেকেই তাঁর ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেছেন। এমনকি অনেকে তাঁকে অ্যাবরশন করার কথা বলতেও ছাড়েননি। নেটিজেনদের অনেকেই হয়তো ভুলে যান দিনের শেষে একজন সেলিব্রিটি কিন্তু আদতে একটি রক্তমাংসের মানুষ। তাঁরা হয়তো এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া দেন না। কারণ সমাজ সেলিব্রিটিদের বিশেষ চোখে দেখে। এই লক্ষ্মণরেখা তাঁদের ইমোশনকে সর্বসমক্ষে প্রকাশ করতে দেয় না। করিনা একজন হবু মা। একজন মা-কে এই ধরনের কটুক্তি করা অমানবিকতার পরিচয় দেয়।দিওয়ালির আগে করিনা ও তৈমুর হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় গিয়েছিলেন সইফ আলি খান-এর কাছে। ধরমশালায় চলছে সইফ অভিনীত ‘ভুত পুলিশ ‘ ফিল্মের শুটিং। সইফ যখন শুটিং করতে ব্যস্ত থাকেন তখন করিনা তৈমুরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন হিমাচল প্রদেশের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মাঝে কিছু সময় কাটাতে। সম্প্রতি করিনা তৈমুরকে নিয়ে গিয়েছিলেন ধরমশালার ধর্মাকোটে মৃৎশিল্পীদের ডেরায়। মৃৎশিল্পীদের ডেরায় গিয়ে কিভাবে মৃৎপাত্র তৈরী হয়, তা পুত্র তৈমুরকে শেখালেন মা করিনা। তৈমুরও মাটির পাত্র বানাতে খুব আনন্দ পেয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা করিনা কপূর আপাতত কোনো অভিনয় বা মডেলিং-এর কাজ করছেন না। তবে লকডাউনের কারণে যে কাজগুলি বাকি ছিল, সেগুলির শুটিং তিনি শেষ করেছেন। কোন দৃশ্যে তাঁর বেবি বাষ্প বোঝা যাবে না। উন্নত এডিটিং প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাঁর বেবি বাম্পকে রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত পরিবার ও তাঁর বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন করিনা। তবে এর মধ্যেও করিনা ও সইফের পুত্রসন্তান তৈমুরকে নিয়ে ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ভাবিত করছে পতৌদি পরিবারকে। এই মুহূর্তে সইফ ও করিনার ভাবী সন্তানকে নিয়েও চিন্তিত তাঁরা।
তৈমুর জন্মগত ভাবে স্টারকিড হলেও তার পরিবার পছন্দ করেন না, তৈমুরের উপর পাপারাৎজির নজর থাকুক। কিছুদিন আগেই করিনা কপূর খানের টক শো ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’-এ এসে তৈমুরের ঠাকুমা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর ((sharmila tagore) বলেছিলেন, তিনি চান বিরাট কোহলি (virat kohli)ও অনুষ্কা শর্মা(Anushka sharma)- র সন্তান তাড়াতাড়ি পৃথিবীতে আসুক। তাহলে অন্ততঃ তৈমুরের উপর পাপারাৎজির নজর কিছুটা কমবে। শর্মিলার কথায় সম্মতি জানিয়েছেন করিনাও। কিন্তু বিরাট-অনুষ্কার কন্যাসন্তানের জন্মের পরেও তৈমুরের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। পতৌদি পরিবার চান, তৈমুর একটি সাধারণ শিশুর মতোই বেড়ে উঠুক। পাপারাৎজির ক্যামেরা তার শৈশবকে বিঘ্নিত করছে বলে মনে করেন তাঁরা।