নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর জোড়া ১৫ জনসভা করবেন মোদি ও শাহ, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরবঙ্গে ৫ টি ও দক্ষিণবঙ্গে ১০ টি জনসভা করবেন
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। গেরুয়া শিবিরের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে বারংবার রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এবার বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন ঘোষণার পর উত্তর দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বাংলায় প্রায় ১৫ টি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে সমসংখ্যক অর্থাৎ ১৫ টি জনসভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই কে রাজ্যের কোন অংশে জনসভা করবেন তার একটি প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত হয়েছে।
বাংলা গেরুয়া শিবির এর তরফ জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে কমপক্ষে ৫ টি জনসভা করবেন মোদি। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে ১০ টি সভা করার সম্ভাবনা আছে। এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, “প্রয়োজন মতো জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে তারা ছাড়াও আরো অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বাংলার মানুষের পাশে এসে দাঁড়াবে।” প্রসঙ্গত, এবারের বঙ্গ সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়ে দলীয় কর্মসূচির ফাঁকেই গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের কোর কমিটির সাথে একটি বৈঠক করেছেন। সেই সাথে শুক্রবার দলের যুব মোর্চার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় যুগ্ম-সম্পাদক শিব প্রকাশ। তিনি সেখানে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, “সকলে ভোটে টিকিট পাবেন না। কিন্তু তাতে মন খারাপের কোন জায়গা নেই। দলের হয়ে কাজ করাটাই বড় কথা।”
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি শিবির মরিয়া হয়ে ভোট জেতার উদ্দেশ্যে কাজে লেগে পরেছে। তাই দফায় দফায় হচ্ছে তাদের বৈঠক এবং কেন্দ্রীয় নেতারা এসে ভোটের রণনীতি নির্ধারণ করে যাচ্ছে। আগামী ২২ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসবেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় সভায় করবেন। তারপর ৭ মার্চ ব্রিগেড থেকে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মাঝে একাধিকবার রাজ্য দেখা যাবে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডাকে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা যে নিচুস্তরে দলের সংগঠন মজবুত হোক। যাতে দলের বার্তা প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়।