মহারাষ্ট্রে ফের লকডাউন, ৫ রাজ্যকে কোভিড অ্যালার্ট করল কেন্দ্র
মুম্বই: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) ফের লকডাউন (Lockdown)। কেন্দ্রের (Central Govt) তরফে কোভিড অ্যালার্ট (Covid Alert) দেওয়া হল ৫ রাজ্যকে। করোনা (Coronavirus), করোনা আর করোনা। গত ১ বছর ধরে গোটা বিশ্বকে এক্কেবারে বাড়িতে ধুকিয়ে দিয়েছে এই মারণভাইরাস। এদিকে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছানোর পর এই ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমতে শুরু করেছিল আমাদের দেশে। কিন্তু ফের আশঙ্কা করা হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়েভের। কারণ, গত সাতদিনে হু হু করে ফের দেশ জুড়ে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। লকডাউনের সম্ভাবনা উস্কে দিয়ে কেন্দ্র জারি করল একাধিক নিষেধাজ্ঞা (Guidelines)।
ভারতের পাঁচ রাজ্যে ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমনের গ্রাফ। রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, কেরল, পাঞ্জাব, ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশ। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই পাঁচ রাজ্যকে কড়া সুরক্ষাবিধি পালন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যেকোন উপায়ে যদি সংক্রমনের চেন ভাঙা না যায় তাহলে শেষ অস্ত্র লকডাউন। এদিকে মহারাষ্ট্রে গর ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১১২ জন। যে কারনে ইতিমধ্যেই ২ দিনের লকডাউন জারি করা হয়েছে সরকারের তরফে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার পর্যন্ত লকডাউন থাকবে অমরাবতীতে। ইয়াবতমালে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্র নয়, হুহু করে সংক্রমণ বাড়ছে কেরল, পাঞ্জাব, ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশে। কেন্দ্র জানিয়েছে এই প্রত্যেকটি রাজ্যে কঠোরভাবে পালন করতে হবে সুরক্ষা বিধি। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে সবথেকে বেশি কাজ করছে লোকাল ট্রেন। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই লোকাল ট্রেনে ৩০০ জন মার্শাল নিযুক্ত করেছে। জানানো হয়েছে কোনও যাত্রী মাস্ক ছাড়া যাত্রা করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে কর্পোরেশনের তরফে।
মুম্বাই তে ১০ হাজারের বেশি বাড়ি সিল করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে কোনও বিল্ডিংয়ে ৫ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত থাকলে সেই বিল্ডিং সিল করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পাঁচজনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি যেকোন রেস্তোরা বা অনুষ্ঠান বাড়িতে আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি উপস্থিতি চলবে না।
করোনার নতুন প্রজাতির ভাইরাস মিলেছে দেশে। চিন্তিত দেশের বিশেষজ্ঞরা। করোনার প্রথম ঢেউ যেভাবে ছড়িয়েছিল, দ্বিতীয় ঢেউ সেই একইভাবে এগোচ্ছে। এদিকে, ভারতে বিদেশ থেকে আসা চার জনের মধ্যে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রজাতি মিলেছে। এক জনের মধ্যে ব্রাজিলীয় প্রজাতি মিলেছে। তিনিও বিদেশ থেকেই এসেছেন। অতি ছোঁয়াচে এই প্রজাতি। তাই আর দেরি না করে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এবার এক নজরে জেনে নিন সেইসব নির্দেশিকাগুলি।…
১) ভারতে আসার বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সেই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট অবশ্যই নেগেটিভ আসতে হবে।
২) যাঁরা দেশে পরিবারের কারও মৃত্যুর খবর পেয়ে আসছেন, শুধু তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে।
৩) বিমানবন্দরে নামার পরেও যদি করোনার উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে আইসোলেশনে রাখা হবে।
৪) সমস্ত যাত্রীদের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরের পর্যবেক্ষক অফিসারদের তালিকা ও ফোন নম্বর দেওয়া হবে। পরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে ফোন করে জানাতে হবে।
৫) ব্রিটেন, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা যাত্রীদের জন্য এসব নিয়ম প্রযোজ্য নয়।