অনুব্রতকে হুমকি দিয়ে বিজেপি নেতা পেল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতিতে
অনুব্রতকে হুমকি দিয়ে নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় ১৩ মাস জেল খেটেছে
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তুমি কি তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্ব। তাই প্রতিদিন রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপি নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর সামনে আসছে। রাজ্যজুড়ে নির্বাচন প্রাক্কালে দুই দলের কর্মীদের মধ্যে বচসা অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কে খুনের হুমকি দেয়ার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বর্ধমানের প্রাক্তন পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে। পরে জেল থেকে মুক্তির পর সে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখায়। গেরুয়া শিবিরের নাম লেখানো পর এখন নিত্যানন্দ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী পেয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বঙ্গ রাজনীতিতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার বিজেপি নেতার গুসকরা বাসভবনে এসে পৌঁছেছে চারজনের আধাসামরিক বাহিনী। এই ঘটনা প্রসঙ্গে নিত্যানন্দ বাবুকে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, “আমি জানিনা কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। তবে আমি গেরুয়া শিবিরের প্রতি কৃতজ্ঞ। দল আমাকে যেখানে যেতে বলে বাজা দায়িত্ব পালন করতে বলবে আমি তা মাথানত করে পালন করব।”
এছাড়া পুরনো দল তৃণমূল সম্বন্ধে কথা বলতে গিয়ে নিত্যানন্দ বাবু বলেছেন, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকে ওই দলে আছি। আমি ঘাসফুল শিবিরের গুসকরা শিবিরকে শক্তিশালী করেছিলাম। কিন্তু তার প্রতিদান আমি যা পেলাম তা আমি কখনো ভুলব না। আমাকে ওরা ১৩ দিন জেল খাটিয়েছে। এখন আমার জীবনে একটাই লক্ষ্য এবং সেটা হল তৃণমূল কংগ্রেসকে সমূলে উৎখাত করা।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অনুব্রত মণ্ডলকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই অভিযোগ এসেছিল। তার কাছে দুটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে ডিসেম্বর মাসে সে অমিত শাহ এর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করে। এবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেল বিজেপি নেতা অনুব্রতকে হুমকি দেওয়ার জন্য।