এদিন ব্রিগেডের জনসভা উপস্থিত ছিলেন বাম কংগ্রেস জোট এর তৃতীয় শরিক ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রবক্তা তথা সুপ্রিমো আব্বাস সিদ্দিকী। তাতে উপস্থিত থাকতে দেখেই একেবারে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বক্তৃতা মাঝ রাস্তায় ছেড়ে সেখান থেকে নেমে যেতে চান কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। সে সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসু (Biman Bose) এবং মোহাম্মদ সেলিম (Md.Selim)। অন্যদিকে আব্বাস সিদ্দিকী জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের প্রতি নমনীয় হবেন না, তিনি ভিক্ষা চাইছেন না অংশীদারিত্ব চাইছেন।
বামেদের সঙ্গে আসন রফা করা হয়ে গিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকীর। সবাই জানিয়ে দিয়েছেন বামেদের সঙ্গে তারা ৩০ টি আসনে সম্মতি জানিয়েছেন। কিন্তু মুর্শিদাবাদ এবং মালদহে এটিও আসন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান প্রথম থেকেই আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিন্তু বঙ্গের কংগ্রেস নেতারা তার সঙ্গে সমঝোতা করতে একেবারেই নারাজ। ইতিমধ্যেই জোটের ব্যাপারে কংগ্রেস সভানেত্রী কে আব্দুল মান্নান চিঠি পাঠিয়ে আলোচনা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ছিলেন। কিন্তু এবারে, বাম কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের জোটের সমস্যা একেবারে সবার সামনে চলে এলো।
মঞ্চে ওঠা মাত্রই আব্বাসের সর্মথকরা তকে ভাইজান বলে আহ্বান জানান। তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বাম নেতারা। অন্যদিকে পডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চাইলে অধীর চৌধুরী কে বোঝানোর চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সেলিম এবং বিমান বসু। নিজেও কিছু কথা বলেন আব্বাস সিদ্দিকী। তারপরে অবশেষে বক্তৃতা শুরু করেন অধীর চৌধুরী। বাম নেতারা, এবং উপস্থিত সকল জনতা তখন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।