বেশ কয়েকদিন ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। বিজেপি নেতারা প্রায় নিশ্চিত ছিলেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাদের দলে যোগ দিতে চলেছেন। অন্যদিকে জল্পনা উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড এর সময় তিনি নাকি সেখানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন। কিন্তু এই সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে সৌরভের বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানানো হলো, রাতারাতি যদি কোন নাটকীয় পরিবর্তন না হয় তাহলে তিনি এখনই রাজনীতিতে আসছেন না। আপাতত তার মত পরিবর্তন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে এইবারের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তাকে নিজের দলে টানার আশা চলে প্রায় শেষ হয়ে গেল বললেই চলে।
দিন কয়েক আগে গুঞ্জন উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড জনসভার দিন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন। গোপন সূত্রের খবর, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ রূপে একটি জল্পনা এবং এর সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। এখনই তিনি কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে ব্যাট ধরছেন না। ইতিমধ্যেই বিজেপি হাইকমান্ডকে তার সিদ্ধান্তের কথা সৌরভ জানিয়ে দিয়েছেন। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তাকে ফোন করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তিনি ফোনও তোলেননি।
ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সফল অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ইনিংস নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল। সৌরভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই বিষয়টি ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। অমিত শাহের পুত্র জয় শাহের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। কার সঙ্গে বিজেপির সাথে তাকে বেশ কয়েকবার মঞ্চে দেখা গিয়েছে। বাংলায় এখন বিজেপির হাই কমান্ডের সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় হলো তাদের নেতৃত্তের মুখের অভাব। এই পরিস্থিতিতে যদি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতেন তাহলে হয়তো ভারতীয় জনতা পার্টি তাকে অন্যতম বড় মুখ হিসেবে বিধানসভা নির্বাচনে সামনে আনত। এছাড়াও, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এর সঙ্গে সাক্ষাৎকার এর পর থেকে সৌরভের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা আরো তুঙ্গে ওঠে।
তার পাশাপাশি বিজেপির হাইকমান্ড সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কে তাদের নির্বাচনী মুখ হিসেবে সামনে আনার পরিকল্পনা নিয়েছিল। বিজেপি উচ্চ নেতৃত্ব এই নিয়ে বারকয়েক সৌরভ গাঙ্গুলীর সাথে কথা বলেন। তবে সূত্রের খবর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও কিন্তু বার কয়েক রাজনীতিতে যোগ দানের কথা ভেবেছিলেন। ভারতের হয়ে অধিনায়কত্ব করার পর কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে অধিনায়কত্ব করার পরিকল্পনা তিনি একবার না একবার নিয়েছিলেন। সৌরভ যথেষ্ট ভাল একজন অধিনায়ক ছিলেন ভারতীয় দলের ক্ষেত্রে। তাই রাজনীতির ময়দানে গেলেও তিনি খুব একটা খারাপ করবেন না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তবে, বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর এইটুকু স্পষ্ট হয়ে গেল, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখনই রাজনীতিতে আসছেন না।