নন্দীগ্রামে দেখা যাবে মমতা বনাম শুভেন্দু, ভবানীপুরের গেরুয়া সৈনিক বাবুল সুপ্রিয়
গতকাল গভীর রাত অব্দি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াই লড়বেন শুভেন্দু অধিকারী
একুশে বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বাংলা বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই নিরিখে গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনে কমিটির সাথে বৈঠক করেন বাংলা কোর বিজেপি শিবির। সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গভীর রাত অব্দি বৈঠকের পর তারা প্রথম দুই দফা ভোটের প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে কবে তা প্রকাশ করা হবে তা কেন্দ্রীয় নেতারা ঠিক করবে।”
অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে সবার পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে। যেহেতু শাসকদল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে এবারে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবেন, তখন থেকেই জোর জল্পনা চলছিল যে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিপরীতে বিজেপিতে কে? গতকাল বিজেপির বৈঠকের পর এটা একপ্রকার নিশ্চিত যে দিদির বদলে গেরুয়া সৈনিক হয়ে মাঠে নামছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় জানিয়েছেন, “শুভেন্দু নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চাই। আর দলীয় কর্মীরা ওর সাথে একমত।” এছাড়াও আরো এক গেরুয়া নেতার কথায়, “মমতার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের শুভেন্দু ছাড়া আর কে হবে?”
এছাড়া গেরুয়া শিবির মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো কেন্দ্র অর্থাৎ ভবানীপুরকেও বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে। ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। একুশে নির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় হয়তো বিজেপি থেকে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, “দল যদি চায় আমি মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে প্রার্থী ওই তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।”