মূল্যবৃদ্ধির বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে প্রায় প্রতিনিয়ত পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে পেট্রোপণ্য জাতীয় জিনিসের। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম দেখে মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের। এদিকে পেট্রোল ও ডিজেলের প্রায় প্রতিদিন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে বললেই চলে। ভোপালে প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অন্যদিকে দিল্লি ও মুম্বাইয়ে প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৯১.১৭ টাকা ও ৯৭.৫৭ টাকা। এত বেশি টাকা দিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের।
পেট্রোল ও ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকার তেল কোম্পানিগুলোর সাথে পর্যায়ক্রমিক আলোচনা করছে। জানা গিয়েছে তারা বৈঠক করে পেট্রোপণ্যের উপর এক্সাইজ ডিউটি, ডিলার কমিশন ইত্যাদি কমাতে পারে যার ফলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম অনেকটাই সস্তা হয়ে যাবে। আসলে ভারতে পেট্রোল ডিজেল কিনতে গেলে এক্সাইজ ডিউটি, ডিলার কমিশন ও অন্যান্য চার্জ যুক্ত করে আসল দামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দাম দিতে হয় গ্রাহকদের। তবে সেই দামে কিছুটা ছাড় মিললে অনেকটাই স্বস্তি পেতে পারে গ্রাহকরা।
তবে যদি সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম জিএসটির অধীনে নিয়ে আসে তাহলে তেলের দাম অনেকটা কমে যাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। যদি এই মুহূর্তে সরকার পেট্রোল-ডিজেলের দাম জিএসটির অধীনে নিয়ে আসে তাহলে প্রতি লিটার পেট্রোল কিনতে খরচ করতে হবে ৭৫ টাকা ও সেই জায়গায় প্রতি লিটার ডিজেল পাওয়া যাবে মাত্র ৬৮ টাকায়। লিটার প্রতি পেট্রলে ১৬ টাকা দাম কমলে অনেকটাই স্বস্তির মুখ দেখবে সাধারণ মানুষ। এই বিষয়ে প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যখন গোটা দেশে জিএসটি চালু হয়েছিল তখন থেকেই পেট্রোল ও ডিজেলকে তার অধীনে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো হয়ে ওঠেনি। তাই বর্তমানে প্রত্যেকটি রাজ্য তাদের নিজেদের দরকার মত ভ্যাট বসিয়ে পেট্রোপণ্য বিক্রি করে। তবে যদি পেট্রোল বা ডিজেলকে জিএসটির অধীনে আনা হয় তাহলে দাম অনেকটাই কমবে।