বেশ কয়েকদিন হল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দিয়েছে ভোটের সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট। ২৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ সিডিউল। আর আজকেই ঘোষণা হতে চলেছে তৃণমূলের সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা। তারই মধ্যে শুক্রবার দলের বিরুদ্ধে আবারো বেসুরো মন্তব্য করে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন তৃনমূলের তারকা সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। শতাব্দি রায় বলছেন, তৃতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি আরো বলেছেন, “দল থেকে যারা বেরিয়ে গিয়েছেন, তারা সম্মান পাননি। নেতা এবং দল উভয়ের পরস্পরের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। দলের উচিত তাদের কথা একটু ভাবা এবং তাদের সমস্যার সমাধান করা।” ফলে স্বভাবতই বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে চাপে পড়েছে শাসক শিবির।
তারাপীঠে পুজো দিয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন শতাব্দী রায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, দলের খারাপ সময়ে কোনো নেতাকর্মীর দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত নয়। দলের কর্মীদের উচিত এই সময়ে নেত্রীর পাশে থাকা এবং এই খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা। তবে শতাবদি রায় কিন্তু নিজেও আগে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দেবার জল্পনা উস্কে দিয়েছিলেন।
জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখানো প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তারই মধ্যে নাটকীয় রদবদল ঘটে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হস্তক্ষেপে। দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করার পর অভিষেকের ভূয়শী প্রশংসা করে তৃণমূল দলে থেকে যান সাংসদ শতাব্দি রায়। অন্যদিকে বীরভূমের সাংসদ তার ক্ষোভের বিষয়গুলি সমাধান করার কথা জানিয়েছেন দলকে।
তিনি বলেছেন, “ভোটের আগে বাংলার স্বার্থে আমরা গোটা তৃণমূল পরিবার এক হই, লড়াই করি।” আর এই সুর নরম করার পরেই হঠাৎ করে শতাব্দি রায়ের হাতে চলে আসে দলের রাজ্য স্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। ফলে, রাজনৈতিক মহলের মতামত ছিল, ধ্বনি টিকিয়ে রাখার জন্য শতাব্দী রায় কে এই পোস্ট অফার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তার পরেও সম্মান ও সম্মান নিয়ে দলের বিরুদ্ধে আবারো মন্তব্য করলেন শতাব্দি রায়। তবে কি আবার দল ছাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলো? প্রশ্ন করছে রাজনৈতিক মহলে।