মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থী হবার আগে ঘোষণা করেছিলেন কলকাতাকে লণ্ডন বানাবেন। সেই দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে এলো এবারে সিটি অফ জয় কলকাতা। বিদ্যুৎ চালিত বাস সার্ভিসে বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করে ভারতের মধ্যে নজির গড়েছে কলকাতা। পিছনে ফেলে দিয়েছে লন্ডনকেও। বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ গুলিকে পিছনে ফেলে দিয়ে বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আলোচনার অন্যতম বড় বিষয় হয়ে উঠেছে শহর কলকাতা। সম্প্রতি EV CITY CASEBOOK এর দ্বারা একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল যেখানে বিশ্বের শহরগুলি কিভাবে ইলেকট্রিক বাস চালাচ্ছে তার একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। এই বছরে এই তালিকা নাম উঠেছে কলকাতার।
এই তালিকায় নাম ছিল বৃটেনের লন্ডন, চীনের সেনজেন, চিলির সান্টিয়াগো এর মত শহরের। ইলেকট্রিক বাস এর ক্ষেত্রে বিশ্বে এক নম্বরে উঠে এসেছেন চীনের সেনজেন শহরটি। অন্যদিকে দেশের সবথেকে বড় ইলেকট্রিক বাসের সম্ভার নিয়ে কলকাতা রয়েছে বিশ্বের তিন নম্বর স্থানে। কলকাতা বাদ দিয়ে এই তালিকায় নাম রয়েছে শুধুমাত্র গুজরাটের আহমেদাবাদের।
ইলেকট্রিক বাস বেশ অনেকদিন ধরে কলকাতার রাস্তায় চলছে। ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন এই ধরনের বাস নিয়ে আসে। এই ধরনের বাসগুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি হয়। পাশাপাশি এই ধরনের বাস পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। পরিবেশ দূষণ এই ধরনের বাসে খুবই কম হবে।
বর্তমানে শহর কলকাতায় ১০০টি ইলেকট্রিক বাস চলছে এবং সেগুলিকে চালাচ্ছে ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিকল্পনা করেছেন আগামী ২০৩০ এর মধ্যে কলকাতার রাস্তায় ৫,০০০ ইলেকট্রিক বাস নামাবেন তিনি। কলকাতার পরিবেশকে যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।