টলিউডে এই মুহূর্তে রীতিমত ভাঙন শুরু হয়েছে। একের পর এক অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকূশলীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। ফেব্রুয়ারি মাসে যশ দাশগুপ্ত (yash Dasgupta) বিজেপিতে যোগদানের পর যশকে সৌজন্যবোধ
জানিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে অভ্যর্থনা করেছিলেন দেব( Dev)। ফলে তখন থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা, দেবও বোধহয় এবার বিজেপিতে যোগদান করবেন। কারণ বহুদিন আগে দেব তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, তাঁকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন মমতা। সুতরাং দেবের তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা আরও জোরদার হয়েছিল।
কিন্তু এবার সব জল্পনায় জল ঢেলে দেব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁর তৃণমূল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কট্টর রাজনীতিবিদ নন এবং মন্ত্রীত্ব পাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর জন্য যা করেছেন, তাতেই তিনি খুশি।
দেব বরাবর সৌজন্যমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এই মুহূর্তে তাঁর সৌজন্যবোধ তৃণমূলের তুরুপের তাস। যশ বা শ্রাবন্তী (srabanti chatterjee)-র মতো তাঁকে নিয়ে কোনও কেচ্ছা নেই। এমনকি দেব টলিউডের একাধিক টেকনিশিয়ানকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেছেন। টলিউডের বৃদ্ধ টেকনিশিয়ানরা কর্মহীন হয়ে দেবের কাছে গেলে দেব তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। দেবের পরিষ্কার ভাবমূর্তি এবং সৌজন্যবোধের প্রশংসা বিরোধীদের মুখেও শুনতে পাওয়া গেছে। ফলে বাংলার আসন দখল করার জন্য বিজেপি দেবকে চাইলেও দেবের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে, দেব গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে বিজেপিতে যেতে রাজি নন। তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। ভবিষ্যতে যদি দেবের তৃণমূল ছাড়ার পরিস্থিতি তৈরী হয় তাহলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে সম্পূর্ণভাবে তাঁর প্রোডাকশন হাউস ও ফিল্ম কেরিয়ারে মনোনিবেশ করবেন।