গতকাল নন্দীগ্রামে মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাবার সময় চোট লাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চোখ কিভাবে লাগলো সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত ধন্দে অনেকেই। তৃণমূল নেত্রী কে কেউ কি ধাক্কা মেরে ছিল? সেই নিয়ে চলছে বিজেপি তৃণমূল তরজা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন ৪-৫ জন তাকে দরজার কাছে ধাক্কা দিয়েছিল। কিন্তু দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী আবার অন্য কথা বলছেন। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বয়ানে দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন কেউ তাকে ঠেলা দেননি বা ধাক্কা দেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী সৌমেন মাইতি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী কে দেখার জন্য ভিড় জড়ো হয়ে গেছিল। কিন্তু কেউ ধাক্কা দেয়নি। গাড়ি অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছিল। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি শুধুমাত্র ছাত্র।”
অন্যদিকে আর এক প্রত্যক্ষদর্শী চিত্তরঞ্জন দাস বলেছেন, “এখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। উনি হাতজোড় করে আসলেন। দরজা খুলে ছিলেন। গেটের সামনে বসেছিলেন। পোস্ট এর সামনে গিয়ে দরজা লাগে। আর সেটাই তার পায়ে লেগেছে। কেউ তাকে ধাক্কা মারেনি কিংবা ঠেলা দেননি। দরজার কাছে কেউ ছিলনা। তারপর তিনি বেরিয়ে গেলেন।”
বর্তমানে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস্ এ তার এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ের পাতায় চিড় রয়েছে। অন্যদিকে লিগামেন্টে আঘাত আছে। এছাড়াও সফট টিস্যু ইঞ্জুরি রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধাক্কা মেরেছে বিজেপি পরিচালিত গুন্ডারা। অন্য দিকে বিজেপি এই মামলা তদন্তের দাবি জানাচ্ছে।