বিজেপি প্রার্থী তালিকায় সাংসদের ভিড়, তাহলে কি নেই কোন সম্ভাবনাময় মুখ?
আজ রবিবার দুপুরে বিজেপি মোট ৬৩ কেন্দ্রে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবারের নির্বাচন মোট ৮ দফায় সম্পন্ন হবে। এরমধ্যে বিজেপি কিছুদিন আগেই তাদের প্রথম দুই দফার ৬০ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল। তারপর গতকাল অর্থাৎ শনিবার থেকে বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি ও কোর বাংলা বিজেপির সদস্যরা বারংবার বৈঠকের পর আজ তাদের তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোটের প্রার্থীর তালিকা চূড়ান্ত করেছে। তারা আজকে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোটে মোট ৬৩ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করবে। প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ ৬ এপ্রিল, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৯ মার্চ। অন্যদিকে, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হবে।
আজ অর্থাৎ রবিবার বাংলা তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোটে বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং। এখনো অব্দি যা নাম সামনে এসেছে তাতে আছে বাবুল সুপ্রিয়, স্বপন দাশগুপ্ত, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মত সাংসদরা। এখানে প্রশ্ন উঠেছে যে এতজন সাংসদকে বিজেপি কেন প্রার্থী করেছে? কারণ এর আগে বিজেপি জানিয়ে দিয়েছিল যে কোন সাংসদ এবার প্রার্থী হবে না। কিন্তু তা সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে তাহলে কি বাংলার প্রতিটা কেন্দ্র থেকে বিজেপি কোন ভোটে জিততে পারে এমন প্রার্থী খুঁজে পায়নি, যার জন্য এত জন মুখ চেনা সাংসদকে তাদের প্রার্থী করতে হলো?
অবশ্য দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং তারা পাল্টা বলেছেন, একঝাঁক সাংসদের ঝড়ো বক্তৃতা ও এলাকায় জনপ্রিয়তা মমতা সরকারকে হারাতে সাহায্য করবে। তাই লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তার এলাকা চুঁচড়াতে প্রার্থী করা হয়েছে। অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলের সংসদ হলেও, তাকে টালিগঞ্জ কেন্দ্রের মত হেভিওয়েট জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে। কারণ বাবুল সুপ্রিয়র সেলিব্রেটি ইমেজ বিজেপিকে ভোটযুদ্ধে উর্ত্তীন্ন করতে পারে। এছাড়াও সামনের বছর রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে স্বপন দাশগুপ্তের। তাই আগে থাকতেই তাকে এবার বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তার স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নিরিখে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, এরপর রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও মুকুল রায়কে প্রার্থী করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির তরফ এখনো তাদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। মুকুল রায় সর্বভারতীয় বিজেপি সহ-সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলার ভোটযুদ্ধে প্রার্থী হয়ে লড়তে পারেন। আসলে বাংলার গেরুয়া শিবির চেনা মুখ দিয়ে নির্বাচন করাতে চায় যাতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সমান শক্তি নিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারেন।