নিউজপলিটিক্সরাজ্য

প্রার্থী না করায় অপমানিত, বিজেপি ছাড়লেন বাংলার রাজনীতির এভারগ্রীন জুটি শোভন বৈশাখী

বেহালা পূর্ব আসনে প্রার্থী হলেন না শোভন, তালিকায় নাম নেই বৈশাখীর

Advertisement

বেশ কয়েকদীন ধরেই চলছিল সমস্যা। এবারে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানন, শোভন চ্যাটার্জি এবং তার বান্ধবী বৈশাখী ব্যানার্জি। তৃতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই তারা নিজেদের ইস্তফা দিলেন। প্রচণ্ড অপমানিত শোভন এবং বৈশাখী, কদিন আগে জানা গিয়েছিল শোভনকে প্রার্থী করলেও হয়ত প্রার্থী হচ্ছেন না বৈশাখী। তারপর থেকেই শুরু অসন্তোষের পালা। এবারে তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পরেই দল ছাড়লেন শোভন বৈশাখী।

জানা যাচ্ছে, যে আসনে শোভন প্রার্থী ছিলেন, অর্থাৎ বেহালা পূর্ব, সেখানে এবারে বিজেপির প্রার্থী হলেন সদ্য যোগদান করা পায়েল সরকার। মনে করা হয়েছিল , শোভনকে প্রার্থী করা হবে বেহালা পশ্চিম থেকে। বেহালা পূর্বে প্রার্থী হলেন পায়েল। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হবে তার টক্কর। কিন্তু প্রার্থী হলেন না শোভন। এই জুটি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেছিলেন বটে, কিন্তু প্রথম থেকেই দলের সঙ্গে সমস্যা শুরু। এক বছর হয়ে গেলেও তেমন একটা দলের সঙ্গে থাকছেন না শোভন। এই নিয়ে দলের অন্দরেই গুঞ্জন চলছিল। শোনা গেছিলো, তিনি নাকি আবার তৃণমূলে ফিরছেন।

কিন্তু জানা যায়, প্রশান্ত কিশোরের জন্যই তিনি পুরনো দলে ফিরতে পারেননি। এই মুহূর্তে আসেন মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। গত বছর যখন তিনি বাংলায় আসেন, তখন তিনি শোভন এবং বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তাকে বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার সাথেই সহ পর্যবেক্ষক হন বৈশাখি। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হলো না। এবারে তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই দল ছাড়লেন বাংলার রাজনীতির বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় জুটি শোভন – বৈশাখি। ফেসবুক প্রোফাইলে শোভনকে ডেডিকেট করে বৈশাখীর আবেগঘন পোস্ট, “তুমি সবসময় আমার আইকন হয়ে থাকবে। আজকের অপমান আমাদের উদ্দীপনাকে ধ্বংস করতে পারবে না। আমরা লড়াই করব এবং জিতব”।

কিন্তু কেনো এই সিদ্ধান্ত, দিলিপকে পাঠানো চিঠির বক্তব্যে এই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন শোভন। জানিয়েছেন, তিনি আশা করেছিলেন, তাকে বেহালা পূর্ব আসনের প্রার্থী করবে বিজেপি। এর জন্য তিনি অপমানিত। তারপর তার প্রিয় বান্ধবী বৈশাখী, তাকে প্রার্থী করার ব্যাপারে কিছু ভাবাও হয়নী বিজেপির তরফে। দুই কারণেই দুজনেই অপমানিত। একসাথে এসেছিলেন বিজেপিতে। আর একসাথেই অপমানিত হয়ে ছাড়লেন বিজেপি।

Related Articles

Back to top button