নিজস্ব সংবাদদাতা: কাটমানি ও তোলাবাজির টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তৃণমূল জমানায় এই প্রথম আন্দোলনের ঝড় তুলতে এলাকায় সাইকেল মিছিল করে, নিজেদের দাবি জানাল এসএফআইয়ের ছাত্ররা।
শিক্ষার শেষে সবার কাজ চাই, এই দাবিকে সামনে রেখে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের দাসপুর-১নং ব্লকে সাইকেল মিছিল করে এসএফআই। এদিন দাসপুর-১ ব্লকের কলোড়া, পাঁচবেড়িয়া, গৌরা, পার্বতীপুর, নন্দনপুর, জয়কৃষ্ণপুর ও সরবেড়িয়ার বিভিন্ন জায়গায় সাইকেল মিছিল করে তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে বেকারত্বের হার দিন দিন বৃদ্ধির জন্য একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী। তিনিই সিঙ্গুর থেকে টাটাদের তাড়িয়ে দিয়ে বেকারদের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছেন।
পাশাপাশি তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, বেকারত্বের সমস্যায় রাজ্য জর্জরিত। সেদিকে সরকারের খেয়াল নেই। অথচ তৃণমূলের ছোটবড় নেতারা কলেজে ভর্তি ও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা কাটমানি নিচ্ছে। সেই কাটমানির টাকা অবিলম্বে ফেরত ও বেকার সমস্যা নিয়ে নবান্ন অভিযান করবে বলে জানায় তাঁরা। একইসঙ্গে তাঁরা সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন পর গ্রামবাংলায় এভাবে বাম ছাত্র সংগঠনের যুবকদের সাইকেল মিছিল নিয়ে রহস্যের খোঁজ পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যে মমতা সিপিএমকে সাইন বোর্ডে পরিণত করে বাংলায় বিজেপির আসার পথ সুগম করেছে, সেই বিজেপি বাংলায় ১৮টি আসন পেয়ে কী সিপিএমের মনোবল বাড়িয়ে দিল? লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থানের ফলে আমরা দেখেছি শুভেন্দুর গড় নন্দীগ্রাম, কেশপুরের মতো জায়গায় সিপিএমের পুরনো একের পর এক পার্টি অফিসগুলো খুলেছে। যে পার্টি অফিসগুলো এক দশক ধরে তালা ঝোলানো অবস্থায় ছিল।
এসএফআইয়ের এই মিছিল নিয়ে এলাকার এক তৃণমূল নেতা বলেন, আমরা বারবার বলে আসছি, বাম ও রাম একই। কাল যাঁরা বাম ছিল, আজ তাঁরাই রাম। তাঁদের দাবিগুলো যথাযথ নয়। এ প্রসঙ্গে সিপিএমের এক রাজ্য নেতা বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে বাংলায় নিয়ে এসেছে। তাই তৃণমূল ও বিজেপি এই উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। সেখানে বিজেপির সঙ্গে থাকার প্রশ্নই নেই। যাঁরা এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়বে আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।