ভারতের প্রথম স্বর্ণপদক বিজয়িনী মহিলা কুস্তিগির গীতা ফোগাট (Geeta phogat)-এর বোন রীতিকা ফোগাট (Ritika phogat) আত্মহত্যা করলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র সতেরো বছর। রীতিকা ছিলেন গীতার খুড়তুতো বোন। একসময়ের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন ও দ্রোণাচার্য সম্মানে ভূষিত মহাবীর সিং ফোগাট (Mahavir singh phogat)-এর মেয়ে গীতা ফোগাটই শুধু নন, ফোগাট পরিবারের আগামী প্রজন্মের মেয়েরা সকলেই মহাবীরের তত্ত্বাবধানে কুস্তির ট্রেনিং নিয়েছেন। রীতিকাও তার ব্যতিক্রম ছিলেন না।
ফোগাট সিস্টাররা কুস্তির জগতে প্রত্যেকেই উজ্জ্বল নক্ষত্র। রীতিকাও সতেরো বছর বয়সে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছিলেন। গত চার বছর ধরে চারখি দাদরি-র বালালী গ্রামে নিজের জ্যাঠা ও গুরু মহাবীর সিং ফোগাট-এর সঙ্গেই থাকতেন রীতিকা। 15 ই মার্চ ওই বাড়িতেই সিলিং ফ্যান থেকে রীতিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় ঝোঝু কালন থানার পুলিশ। রীতিকার আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা না গেলেও তদন্তকারী অফিসাররা সন্দেহ করছেন রীতিকা কুস্তির ম্যাচে নিজের হার মেনে নিতে পারেননি।
সম্প্রতি রাজ্য স্তরের একটি ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্টের জন্য হেরে যান রীতিকা। স্বর্ণজয়ী ফোগাট পরিবারের মেয়ে রীতিকা নিজের এই হারকে ফোগাট পরিবারের গৌরবজনক অধ্যায়ে কলঙ্ক হিসাবে দেখেছিলেন। ফলে অচিরেই তিনি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রীতিকার আত্মহত্যার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়া মহলে। রীতিকার মৃত্যুতে রীতিমত ভেঙে পড়েছেন মহাবীর। তাঁর কন্যা ও কুস্তিগির রীতু কুমারী এদিন টুইটারে রীতিকার ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, তিনি এখনও ভাবতে পারছেন না রীতিকা নেই। রীতিকার মৃত্যু আবারও প্রমাণ করল খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে বিপুল পরিমাণ মানসিক চাপের সম্মুখীন হন অ্যাথলিটরা। সেই মানসিক চাপ আবারও কেড়ে নিল একটি সম্ভাবনাময় প্রাণ।