একুশে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে এবং একুশে নির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে। এবারে নির্বাচনে বাম কংগ্রেস আইএসএফ জোট সরকার হিসেবে নির্বাচনী লড়াই লড়বে। তারমধ্যে আজ অর্থাৎ শনিবার সিঙ্গুরের সিপিআইএম প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। এই নেতা যুব বামের এক উজ্জ্বল মুখ। সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী হওয়ার পরেই এই যুবনেতা তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছে, “কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ।”
বামের তরুণ উজ্জ্বল মুখ সৃজন ভট্টাচার্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চন্দননগরের মহকুমা শাসক দপ্তরে। তিনি সেখানে এক চাষীর সাথে গিয়ে তারা মনোনয়নপত্র জমা দেন। আসলে তিনি ফের শিল্পের আবহকে উজ্জীবিত করতে ইচ্ছুক চাষীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। আসলে সিঙ্গুর কৃষি বনাম শিল্পের দ্বন্দ্বে গঠিত। ইচ্ছুক ও অনিচ্ছুক চাষীদের ৪০০ একর জমি নিয়ে বঙ্গ রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রচন্ড চাপানউতোর হয়েছিল। সিপিএম চেয়েছিল শিল্প ও তার বিরোধিতা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল ন্যানো কারখানার সেড ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছিল। তারপর সেই জমিকে কৃষিপ্রধান করতে সেখানে গিয়ে সরষের বীজ ছড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার সেই সিঙ্গুরে বাম সৃজন ভট্টাচার্যের হাত ধরে জয়লাভের আশা দেখছে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে দুই হেভিওয়েট নেতা সাথে। তৃণমূল কংগ্রেসের বেচারাম মান্না ও বিজেপির সৈনিক হয়ে সিঙ্গুরে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল প্রবীণ নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এবার সিঙ্গুরে বেচারাম রবীন্দ্রনাথ ও সৃজনের যে হেভিওয়েট লড়াই হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।