‘বিজেপি জিতলে ১ দিনের মধ্যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার জমা হবে’, পিংলা থেকে প্রতিশ্রুতি স্মৃতি ইরানির
কেন্দ্রীয় বিজেপি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি আজ বাংলায় জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে দিয়েছে। ইশতেহার অনুযায়ী তারা জেলায় জেলায় গিয়ে প্রচার করতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে বিজেপি বারংবার তাদের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বাংলায় এনে প্রচার করাচ্ছেন। আজ অর্থাৎ সোমবার পিংলাতে জনসভা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগেছেন এবং সেই সাথে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের প্রচার করেছেন। তিনি বক্তৃতা শুরু করতে গিয়ে বলেছেন, “বাংলাতে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করব, সেই সংকল্প আজ নিতে এসেছি।”
কেন্দ্রীয় বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি আজ জনসভায় উপস্থিত থেকে বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের জন্য গত তিন বছর ধরে কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প শুরু করেছে। সেই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১০ কোটি কৃষক ভাইয়েরা মাসে মাসে টাকা পেয়েছেন। মোট ১ লাখ কোটি টাকা খরচ করেছে মোদি সরকার। কিন্তু মমতাদি বাংলার কৃষকদের সেই টাকা দিতে দেয়নি। নরেন্দ্র মোদি দিদিকে বারংবার বললেও তিনি মানা করেছেন। যদি আপনারা সেই টাকা পেতেন তাহলে প্রত্যেকে ১৮ হাজার টাকা করে পেতেন। কিন্তু দিদি দিতে দেয়নি। তবে এবারের নির্বাচনে আপনারা যদি পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিজেপিকে জয়যুক্ত করেন, তাহলে ১ দিনের মধ্যে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৮ হাজার টাকা করে পৌঁছে যাবে।”
এছাড়া ঐদিন জনসভা থেকে স্মৃতি ইরানি নির্বাচনী ইশতেহারে মহিলাদের সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকার বাংলার মেয়েদের জীবন বদলে দেবে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। বিনামূল্যে শিক্ষা ও পরিবহন ব্যবস্থা উপভোগ করতে পারবে মহিলারা। নারী সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য রাজ্যে অনেক মহিলা পুলিশ নিয়োজিত হবে।”
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া কোতুলপুরের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আমি করোনার সময় ৪০ কোটি টাকা খরচা করে ৩ টে ট্রেন বাংলায় এনেছি। বাইরে যারা ছিল তাদের হাত খরচের জন্য ১০০০ টাকা করে দিয়েছি। আর মোদী রাস্তায় মানুষকে মরতে দিয়েছে। আমি তৃণমূলের থাকার জন্য কোন টাকা নেই না। আর আপনারা মোদিকে জিজ্ঞেস করুন, পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা কোথায় গেল?” এককথায় তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচন প্রাক্কালের বাংলা।