ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে সরাসরি প্রার্থীপদ পেয়ে গিয়েছেন বেহালা পশ্চিম আসনের জন্য। বিপক্ষে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তা হলেও জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এর আগে বেশ কিছু সিনেমাতে থেকে দেখা গিয়েছে অভিনয় করতে। বিজেপিতে যোগদান করার পরেই মিলেছে টিকিট। আর টিকিট পাওয়ার পরেই প্রচারের জন্য একেবারে জোরকদমে নেমে পড়েছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।
রাজনীতিতে খুব একটা অভিজ্ঞতা নেই, তবে অভিনেত্রী হওয়ার কারণে জনসংযোগ কিভাবে বাড়ানো সম্ভব সেটা তিনি খুব ভালোভাবেই জানেন। বিজেপি প্রার্থী হয়ে সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন তিনি জনসংযোগের উপরে। তার কথায়, সবার আগে জনসংযোগ প্রয়োজন। বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। বিক্রেতাদের অভাব অভিযোগ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
অন্যদিকে প্রিয় অভিনেত্রীকে কাছে পেয়ে, কেউ কিন্তু সেলফি তোলার সুযোগ ছাড়ছেন না। অনেককেই দেখা গেল শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুলতে। গুণমুগ্ধদের আবদার হাসিমুখে মেটালেন শ্রাবন্তী নিজে। শ্রাবন্তী বললেন, “গোটা এলাকায় ঘুরছি, ভালো সাড়া পাচ্ছি, বেহালার সমস্ত অভাব-অভিযোগ আমি শুনেছি। পায়ে হেঁটে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে কথা বলেছি মানুষের সাথে।”
প্রচার শুরু করার সাথে সাথেই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল প্রচারে নেমে পড়তে।কখনো পায়ে হেঁটে আবার কখনো হুড খোলা গাড়িতে প্রচার সারছেন বিজেপি প্রার্থী। বেহালা পশ্চিমে প্রার্থী হবার দরুন এবারে তার বিরুদ্ধে রয়েছেন তৃণমূলের অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সিপিএমের নিহার ভক্ত।যদিও বেহালা পশ্চিমে বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। তিনি বললেন, “লড়াই কঠিন হলেও আমরাই জিতবো।”