এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি অত্যন্ত বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছেন। রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে এবার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রভাব পড়তে চলেছে। এই প্রভাবের ফলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসনসংখ্যা বেশ কিছুটা কমবে বলে বিশেষজ্ঞদের মতামত। শুধু তাই নয়, দেশের অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের তালিকা থেকেও একজন কমে যাবেন যদি ভারতীয় জনতা পার্টি জয়লাভ করে।
এই কারণেই এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবসময় একজন উজ্জ্বল মুখ। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি গুলির বিরোধিতা করা এবং কেন্দ্রে তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা সবকিছু ক্ষেত্রেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুড়ি মেলা ভার। তার পাশাপাশি অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্য রেখে চলেন। এই কারণেই এবারে মমতাকে সাহায্য করতে আসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং হেমন্ত সোরেন।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি আহ্বান জানান তবে তারা দুজন আসবেন। নতুবা নয়। এর আগেও বেশ কিছু ইস্যুতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন দিল্লিতে কৃষক বিদ্রোহ বজায় ছিল তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ডেরেক ও’ব্রায়েন কে পাঠিয়েছিলেন খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাপ-আলোচনা করে থাকেন।
অন্যদিকে এই রাজ্যে কংগ্রেস তৃণমূলের প্রতিপক্ষ। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী নিজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অত্যন্ত পছন্দ করেন। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। এছাড়াও জানা যাচ্ছে দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডের শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী নন, সেখানকার আরো অনেক নেতা-নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করতে আসতে পারেন বলে তারা জানিয়েছেন। তবে এখন এটাই দেখার, বিজেপি বিরোধী এই লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাকে আহ্বান জানান।