প্রথম দফার নির্বাচনে ফোকাসে থাকবে এই ৮টি কেন্দ্র, চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
কাঁথি উত্তর, কাঁথি দক্ষিণ, বলরামপুর, জয়পুর থেকে শুরু করে আরো বেশ কয়েকটি আসন হতে চলেছে প্রথম দফার নির্বাচনের হট সিট।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবারের নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। এবারে জঙ্গলমহলে জেলাগুলি দিয়ে প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় সর্বমোট ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে এবং এদের মধ্যে জঙ্গলমহলের আসনগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আছে কাঁথি উত্তর এবং কাঁথি দক্ষিণ। শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারীর কাছে এই দুটি আসন বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।
গতবারের লোকসভা নির্বাচনে সম্পূর্ণ জঙ্গলমহলে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে বিজেপি। আর এই বারে দেখা যাক তাদের একই রকম ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে বিজেপি নাকি জঙ্গলমহলে নিজেদের জমি ফিরে পায় তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের প্রথম দফার নির্বাচনে এরকম কয়েকটি আসন দুটি দলের ক্ষেত্রেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমে কাঁথি উত্তর এবং কাঁথি দক্ষিণ। এই আসন দুটিতে অধিকারী পরিবারের অধিকার বেশ অনেকদিন ধরে। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী এবং শিশির অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন। তারপর থেকেই এই আসনে অধিকারী পরিবারের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই দুটি আসন থেকে তৃণমূলকে জিততে না দেওয়া।
মেদিনীপুর – এই মেদিনীপুর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছেন জুন মালিয়া। এই কারণে মেদিনীপুর আসনটিকে নিয়ে সকলের আগ্রহের পরিমাণ সভাপতি একটু বেশি।
শালবনী – এবারের নির্বাচনের শালবনি আসনটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকবার গরবেতা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবারে শালবনী থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। তার বিপরীতে রয়েছেন তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত মাহাতো যিনি দুবারের এর বিধায়ক। ফলে কঙ্কালকাণ্ডে জড়িত সুশান্ত ঘোষ এর জন্য শালবনি আসনটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।
রামনগর – পূর্ব মেদিনীপুরের এই আসনটি থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অখিল গিরি। শুভেন্দু অধিকারী দল ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর অখিল বাবুর উপরে বড় ভরসা করেছে তৃণমূল।
ঝারগ্রাম – এই আসনটির জন্য তৃণমূলের প্রার্থী হলেন সাঁওতালি সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ বিরবাহা হাঁসদা। আগে ঝাড়খন্ড থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সেখানে জয়লাভ করতে পারেননি। এই কারণে বিরবাহার ক্ষেত্রে এই আসনটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।
জয়পুর – এই আসলে প্রথমে তৃণমূলের প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় কারণ মনোনয়নপত্রে ছিল ভুল। তারপর থেকেই এই আসনটি চর্চার কেন্দ্রবিন্দু উঠে আসে। তবে শুধু তৃণমূল প্রার্থী নয় এবার তৃণমূল কংগ্রেস ওই আসনের নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে।
বলরামপুর – এই আসনে আবারো একবার প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। গেরুয়া ঝড় এর হাত থেকে নিজের বিধানসভার আসন টিকিয়ে রাখা এখন শান্তিরাম মাহাতো কাছে অত্যন্ত বড় চ্যালেঞ্জ।