মাত্র ৬ মাসেই আসল পরিবর্তন হবে বাংলায়, মন্তব্য মিঠুন চক্রবর্তীর
এদিন ইন্দাস, চন্দ্রকোনা, কেশপুর থেকে ডেবরায় রোড শো করলেন মিঠুন চক্রবর্তী
ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। একটা সময়ে তৃণমূলের হয়ে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে কাজ করেছিলেন। তবে এবার তিনি একজন বিজেপি নেতা। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে বেশ কিছু জায়গায় প্রচার করতে দেখা যাচ্ছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে। নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে যোগ দিয়ে মিঠুন বলেন, “এই দলটাই গরিবের জন্য ভাবে। এইবারে বাংলায় আদতে পরিবর্তন হবে।” এই পরিবর্তন করার জন্য গত ২৫ মার্চ থেকে বিজেপির হয়ে প্রচারে নামছেন মহাগুরু মিঠুন।
এদিন ইন্দাস, চন্দ্রকোনা, কেশপুর থেকে ডেবরায় রোড শো করলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তৃণমূল এবং বাম সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বললেন, “এতদিনে বাংলা কোন পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এবার হবে। সোনার বাংলা হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলার উন্নতি হবে।” তবে তিনি যে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন না সেটা তিনি একেবারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। মাঝে একবার জল্পনা উঠেছিল তিনি কাশিপুর বেলগাছিয়া কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন। অন্যদিকে জল্পনা উঠেছিল তিনি নাকি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন।
কিন্তু সমস্ত জল্পনা অবসান করে তিনি বলেছেন, “আমি প্রার্থী হলেই আমি স্বার্থপর হয়ে যাব।” অর্থাৎ মিঠুন চক্রবর্তী এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচনের পরে অমিত শাহ দাবি করেছেন, “প্রথম দফার ৩০ আসনের মধ্যে ২৬ টি আসন পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি।” এর পরেই মিঠুন চক্রবর্তী বললেন, ‘প্রথম দফার ভোট দেখেই বোঝা যাচ্ছে সরকার বদলাচ্ছে।” অর্থাৎ মিঠুন এবং অমিত শাহ ও দু’জনের কথার ভঙ্গি কিন্তু একেবারে একই রকম। এদিনকার চারটি জনসভায় মিঠুন কে দেখতে ব্যাপক ভিড় হলো রাস্তার দুই ধারে। সব জায়গায় দেখতে পাওয়া গেল কাতারে কাতারে মানুষ। কারো কারো মাথায় আবির রয়েছে আবার কারও কারও মাথায় মুখোশ।তাদের এই উন্মাদনা দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়লেন মিঠুন চক্রবর্তী।
প্রথম দিন প্রচারে বেরিয়ে মানুষের আগ্রহ দেখে মিঠুন বলেছিলেন, “তোমাদের এই ভালবাসার কথা আমি সব সময় বলি। তোমাদের সঙ্গে আমার হিরো এবং ভক্তের সম্পর্ক নয়। আমি বাংলার উন্নয়নের জন্য লড়তে এসেছি। বাংলা সব মানুষকে তাদের অধিকার দিয়ে ছাড়বো। এটা আমার প্রতিশ্রুতি।”