দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নন্দীগ্রামে একের পর এক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে একদিকে প্রার্থী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে প্রার্থী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আমরা দেখেছি নন্দীগ্রামের বয়াল এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে প্রায় ঘন্টা খানেক এর খণ্ডযুদ্ধ হয়।তারপর সেইখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিলেন। তিনি ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই মর্মে তিনি আদালতে যাবার হুমকি দেন এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে ফোন করেন।
কিন্তু মমতা বেরিয়ে যাওয়ার পরেই অধিকারী বাড়ীর মেজো পুত্র শুভেন্দু অধিকারী সেখানে গিয়ে হাজির হন। শুভেন্দু বলেন, “উনি ভোটারদের অপমানিত করছেন। দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর দোষারোপ করছেন। রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। তবে ভোট কিন্তু পরিচালনা করছে নির্বাচন কমিশন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবার পর তৃণমূল এবং বিজেপির কর্মীদের মধ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ৭ নম্বর বুথে ভোট দানে বাধা এবং এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী এবং অমিত শাহ এর উপরে কটাক্ষ করেন। এই বক্তব্যের পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি রাজনৈতিক জমি হারাচ্ছেন। বেআইনী কাজ করেছেন উনি। ২ ঘন্টা ভোটগ্রহণ আটকে নাটক করেছেন। আদর্শ আচরণ বিধি ভেঙেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এরপর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বেগম বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “বেগমের এখান থেকে জেতা হচ্ছে না। কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব নেবে। মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে। আগামী ২ মে বেগমকে ইস্তফা দিতে হবে।”