মাওবাদীদের হাত থেকে ছাড়া পেল ছত্রিশগড়ে অপহৃত সিআরপিএফ কোবরা রাকেশ্বর
আজ বিকেলে গভীর জঙ্গলে অপহৃত সিআরপিএফ কোবরাকে ছেড়ে দিয়ে যায় মাওবাদীরা
কিছুদিন আগেই শিরোনামে এসেছিল ছত্রিশগড় জঙ্গলে মাওবাদী ও সেনা জওয়ানদের গুলির লড়াইয়ের খবর। ওইদিন সূত্র মারফত খবর পেয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের একাধিক বাহিনী দক্ষিণ বস্তারের জঙ্গলে মাওবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযানে নামে। প্রায় ২ হাজার সেনা জওয়ান জঙ্গলের ভিতরে মাওবাদীদের সাথে মুখোমুখি গুলির লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। ছত্রিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এই গুলির লড়াই চলে প্রায় বিকেল তিনটে পর্যন্ত। সেই ঘটনায় ২২ জন সিআরপিএফ কোবরা, ডিস্ট্রিক্ট ডিজাভ গার্ড ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের মৃত্যু হয়। তার মধ্যেই রাকেশ্বর সিং মানহাস নামক এক সিআরপিএফ কোবরাকে অপহরণ করে নেয় মাওবাদীরা। সেই সিআরপিএফ কোবরা আজ বৃহস্পতিবার ছাড়া পেয়েছেন। তাকে মাওবাদীরা বিকেল পাঁচটা নাগাদ ১৫০ জন গ্রামবাসীর সামনে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
জানা গিয়েছে, আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ অপহৃত সিআরপিএফ কোবরাকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে যায় মাওবাদীরা। কার কাছে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায় বিজাপুর সিআরপিএফ কোবরারা। তাকে উদ্ধার করে বিজাপুর সিআরপিএফ ক্যাম্পে আনা হয়। সেখানকার পুলিশ সুপার বলেছেন, “অপহৃত কোবরাকে আমরা সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে এনেছি। এখন তার শারীরিক পরীক্ষা হবে।” অপহৃত সিআরপিএফ কোবরার পরিবার তার মুক্তির খবর পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত হয়েছে। তার স্ত্রী মিনু আনন্দে কেদে ফেলে বলেছেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন আজকে। ওর ফিরে আসা নিয়ে আমার আশা ছিল।” তার মেয়েও বাবার ফিরে আসাতে বেজায় খুশি হয়েছে।
রাকেশ্বর সিং মানহাস ৩৫ বছরের সিআরপিএফ ২১০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডো ছিল। তাকে বস্তার দিয়ে জঙ্গলে মাওবাদীদের সাথে লড়াইয়ের সময় অপহরণ করে মাওবাদীরা। পরে তার ছবি দিয়ে তাকে মাওবাদী হিসেবে দাবি করা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। তার মধ্যেই মাওবাদীদের পক্ষ থেকে সরকারি একজনকে মধ্যস্থতাকারী নিযুক্ত করার কথা বলা হয়। তবে আজ বিকেলেই সে মুক্তি পেয়েছে। ওই সিআরপিএফ কোবরা ৫ দিন মাওবাদীদের হেফাজতে ছিল।