রুদ্রনীলের পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে রণক্ষেত্র চেতলা চত্বর, তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে উত্তাল এলাকা
তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটবৃষ্টি করে এবং অনেক গাড়ি ভাঙচুর করে
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আরো বাকি ৫ দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। বাকি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য পূর্ণ উদ্যমে প্রচার করছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল। এই ভোট প্রচারের মাঝেই বারংবার খবরের শিরোনামে আসছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। একদিকে দলের নেতা-নেত্রীরা বাকযুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে ঠিক তেমন অন্যদিকে দলীয় কর্মী সমর্থকরা মাঝে মাঝে সংঘর্ষে অবতীর্ণ হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চেতলা চত্বর তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
জানা গিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার চেতলা মোড়ে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের একটি পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে যে এই কাজ করেছে তৃণমূলের লোকেরা। তাই তারা ঘটনার প্রতিবাদ করে একপ্রস্থ বিক্ষোভ অভিযান চালায় এবং তারপর চেতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। থানা থেকে ফেরার সময় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মুখোমুখি হয় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকযুদ্ধ বেধে যায়। পরে বচসা হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হয়। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করলে সংঘর্ষ আরো গুরুতর হয়। তারপর এক প্রকার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় চেতলা মোড়। একে অপরের দিকে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। এছাড়াও একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। দফায় দফায় উভয় পক্ষ রাস্তা অবরোধ করে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “তৃণমূলের গুন্ডারা প্রচার সেরে ফেরার পথে লাঠি বন্দুক নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণ করার হুমকি দেয় তারা। প্রায় ২৫০ তৃণমূল দুষ্কৃতী এমন কাজ করেছে। ঘটনায় বিজেপির ১৫ জন আহত হয়েছে।” অন্যদিকে ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাপস রায় কটাক্ষ করে বলেছেন, “বিজেপি বহিরাগতদের বাংলায় নিয়ে এসে বাংলাকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।”