রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন পুরোদমে শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করার অঙ্গীকার করলেও শনিবারে একাধিক হিংসার ঘটনা আমরা দেখতে পেলাম। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন বাংলায় নির্বাচন আরো ভালোভাবে করতে বদ্ধপরিকর। তাই এবারে আরো ৭১ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। জরুরী ভিত্তিতে এই কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারমধ্যে ৩৩ কোম্পানি বিএসএফ, ১২ কম্পানি সিআরপিএফ, ১৩ কম্পানি আইটিবিপি, ৯ কোম্পানি এসএসবি এবং ৪ কোম্পানি সিআইএসএফ জবান আসতে চলেছে।
বাকি চারটি দফার ভোটে বিভিন্ন জায়গায় এদেরকে মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ১৭ তারিখ পঞ্চম দফায় নির্বাচন। তারপর বাকি নির্বাচন গুলি হল ২২, ২৬ এবং ২৯ তারিখ। এরপর ২ মে তারিখে আবার ভোট গণনা হবে। এই চারটি দফার ভোট করানোর জন্য এই কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসতে চলেছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। যদিও, চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর নড়ে চড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন।
চতুর্থ দফা নির্বাচনের শীতল কুচির একটি বুথে তৃণমূল কর্মীদের গুলি মেরে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও তারা বলেন সেখানকার বাসিন্দারা তাদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তাই তারা গুলি চালিয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে সরাসরি কটাক্ষ করেছেন এবং তাকে এই ঘটনার মূল দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি করেছেন।