বারাসাতের এইবারের তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী সকলের কাছেই অত্যন্ত পরিচিত একজন মুখ। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ না করেই তিনি তার প্যাশনের দিকে পা বাড়িয়ে ছিলেন। প্রথমে দূরদর্শনে বেশ কিছু বছর সংবাদ পাঠক, তারপর সরাসরি অভিনয়। দীর্ঘ কয়েক দশক বাংলা সিনেমায় দাপুটে অভিনেতা হিসেবে চিরঞ্জিত পরিচিত। গত দুই বারের বিধানসভা নির্বাচনে চিরঞ্জিত বারাসাত কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন। এবারেও তিনি নিজের সেই কেন্দ্রে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের হলফনামা জমা দিয়েছেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী।
হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন ২০১৯ ২০ সালে তার উপার্জন ছিল ৩৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৪০ টাকা। তারপর তিনি জানিয়েছেন তার স্ত্রী রত্নাবলীর উপার্জন ৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯০০ টাকা। এখন চিরঞ্জিত এর কাছে আছে ৩৮ হাজার ৯৯ টাকা ৯০ পয়সা। আর তার স্ত্রীর কাছে আছে ১০ হাজার ৫১৩ টাকা ৩৭ পয়সা। স্ত্রীর নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। সেই একাউন্টে জমা রয়েছে ৬৮ হাজার ৫৯৯ টাকা , ৩০ হাজার ৯৬ টাকা, ২৮ হাজার ১০২ টাকা, ৫ লাখ টাকা, ১০ লাখ টাকা এবং ৩৮ লাখ টাকা।
অন্যদিকে তার নিজের একাউন্টে আছে ৩ কোটি ৭১ লাখ ৫ হাজার টাকা, ২২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, ৩৭ হাজার টাকা, ২ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ টাকা, ২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, এবং ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এছাড়াও তিনি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেছেন ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা, এবং ১৫ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রীর বিনিয়োগ ৭ লক্ষ টাকা, ১.৫ লক্ষ টাকা এবং ২ লক্ষ টাকা। এনেসেস, ডাকঘরে সঞ্চয় প্রকল্প তিনি বিনিয়োগ করেছেন ২ লক্ষ টাকা এবং তার স্ত্রী বিনিয়োগ করেছেন ১ লক্ষ, ৮০ হাজার এবং ১২.৫ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও চিরঞ্জিতের কাছে বেশ কিছু সোনার গয়না রয়েছে। তার কাছে আছে বেশ কিছু নেকলেস এবং দুটি আংটি যার ২০০১ সালের বাজার মূল্য ছিল ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৪৫ টাকা। এছাড়াও চিরঞ্জিতের একটি গাড়ি রয়েছে মাহিন্দ্রা স্করপিও। ২০১৯ সালে তিনি এই গাড়ি কিনেছিলেন। তখন এই গাড়ির দাম ছিল ১৩ লক্ষ ১৫ হাজার ১৯০ টাকা। তার সাথেই তার স্ত্রীর কাছে আছে একটি সোনার চেন, একটি মঙ্গলসূত্র, তিন জোড়া কানের দুল, তিনটি বালা, দুইজোড়া চুড়, ১০ জোড়া চুড়ি, একটি বাউটি এবং আরো বেশকিছু গহনা যার ১৯৯৫ সালের বাজারমূল্য প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
এছাড়া চিরঞ্জিতের কাছে রয়েছে একটি বাড়ি। টালিগঞ্জের ডক্টর মেঘনাদ সাহা সরণিতে ওই ফ্ল্যাটে তিনি কিনেছিলেন গত ১৯৯২ সালে ৯ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৬২ টাকা দিয়ে। বর্তমানে ওই ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। তবে তার বেশ কিছু ঋণ রয়েছে। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন ব্যাংকে তার নামে একটি গাড়ির লোক আছে ৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৮৫ টাকার।