সম্প্রতি বাড়িতে এসেছে নতুন সদস্য। করিনা এবং সাইফ এই ছোট পুত্রকে নিয়ে বেশ আনন্দ করেই কাটাচ্ছেন দিন। তবে পাপারাজ্জিদের থেকে এই সন্তানকে তিনি দূরেই রাখতে চান। তার বড়ো পুত্র তৈমুরের জীবন থেকে দেখেছেন করিনা। পাপারাজ্জিরা তাকে নিয়ে এতটাই বাড়াবাড়ি করেন, যে তৈমুরের জিবনে এই ব্যাপারটি অনেকটা প্রভাব ফেলেছে। মাঝে মধ্যে আমরা দেখতে পাই তৈমুর নিজেও হাত নাড়িয়ে পাপারাজ্জিদের বারণ করেন তার ছবি তুলতে। কিন্তু ছোট পুত্রকে একেবারেই অন্যরকম ভাবে গড়ে তুলতে চান নওয়াব এবং তার বেগম সাহিবা। তাই বেবো নিজেও জানিয়েছেন, তিনি সবকিছুই সামনে আনবেন তবে এখনই না।
কিন্তু শুধু মিডিয়া না, এখনো নাতির মুখ সামনা সামনি দেখতে পাননি তার ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর। তাহলে কি বেবোর সঙ্গে বা সাইফের সঙ্গে শর্মিলার মনোমালিন্য চলছে? শর্মিলাকে কি বেবোর না পসন্দ? এই বিষয়টি এখন সকলেই জানতে চাইছেন। নিজের বাড়ির লোকের সাথেও এরকম লুকোছাপা কেনো করছেন করিনা? বিষয়টা নিয়ে শুরু জল্পনা। কিন্তু যেরকম ব্যাপারটা মনে হচ্ছে, সেরকম কিন্তু না।
আসলে এই দূরত্বের কারণ হলো মারন ভাইরাস করোনা। শর্মিলা নিজে করোনা আক্রান্ত নন। কিন্তু তিনি আছেন এখন দিল্লির বাড়িতে। এবং সাইফ ও করিনা আছেন মুম্বাইয়ের বাড়িতে। এই মুহূর্তে যদি নাতিকে দেখতে হয় তাহলে শর্মিলাকে বিমানযাত্রা করতে হবে যা ওনার শরীরের পক্ষে হানিকারক হতে পারে। শর্মিলার বয়সের কারণেই তাকে এখনো বিমানে চড়তে দিচ্ছেন না করিনা। অন্যদিকে, শাশুড়িকে খুব মিস করছেন বলেও জানিয়েছেন বেবো। কিন্তু, ভিডিও কলের মাধ্যমে নাতির সঙ্গে আলাপ করেছেন ঠাকুমা। তবে ভার্চুয়াল জগতে হলেও কবে রিয়েল জগতে ঠাকুমা এবং নাতির দেখা হবে সেটা নিয়ে চলছে জলঘোলা।