“দেগঙ্গায় গুলি চলেনি”, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পক্ষপাতিত্ব করে বিবৃতি নির্বাচন কমিশনের
পঞ্চম দফার নির্বাচনের শুরুতে দেগঙ্গায় কুরুলগাছা একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী শূন্যে গুলি ছোড়ে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ চলছে আজ। গত চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো এবং তাতে চারজনের মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাপানউতোর হয়েছিল। তারপর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো পঞ্চম দফা নির্বাচনে শীতলকুচি কথা মনে করিয়ে দিল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বিধানসভা কেন্দ্র। আজ অর্থাৎ শনিবার পঞ্চম দফার নির্বাচনের শুরুতে এই অঞ্চলের কুরুলগাছা একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী শূন্যে গুলি ছোড়ে। প্রচন্ড শব্দে আতঙ্কিত হয়ে ভোটাররা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছে গুলির খোল। এছাড়া সেখানে দাগ হয়ে যায়। এই ব্যাপারে শোরগোল পড়তেই নির্বাচন কমিশন ঘটনার রিপোর্ট দাবি করে।
অভিযোগ উঠেছে, দুপুরে শান্তিপূর্ণভাবেই লাইন দিয়ে ভোট হচ্ছিল। হঠাৎই ভোটাররা শূন্যে গুলি ছোড়ার বিকট আওয়াজ পায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখে মাটিতে গুলির দাগ এবং পড়ে রয়েছে খোল। এমনকি সেই সময় তারা খেয়াল করে যে বুথ থেকে বেশ কিছুটা দূরে তৃণমূলের ক্যাম্পের সামনে ঘোরাফেরা করছে কয়েকজন জওয়ান। সেখানে বিজেপির পতাকা নেই বলে হিন্দি ভাষায় কানাঘুষো কথা বলছে তারা। শান্তিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে হঠাৎ করে গুলি চালানোর কারণ জানতে চায় এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে ঘটনা রিপোর্ট জানতে চাই।
ঘটনা নিয়ে পঞ্চম দফার নির্বাচনের দুপুরবেলা তোলপাড় হলেও সিআরপিএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, “গুলি চালানো হয়নি।” সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে নির্বাচন কমিশন জানায়, “দেগঙ্গায় কোন গুলি চলেনি।” তবে গুলি চলার সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী তাকে করেছিল যে অবৈধ জমায়েত ঘটানোর জন্য তারা গুলি চালিয়েছে। আর এই ঘটনাতে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এত কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোন ভিত্তিতে তাদের বিবৃতি প্রকাশ করল তা নিয়ে চলছে তীব্র জল্পনা। কেন্দ্রীয় বাহিনী যেগুলি চালায় নি তার প্রমাণ কি আছে কমিশনের কাছে তা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি।