“আমরা যেমন চাইছি, তেমনি চলছে”, দিলীপের বক্তব্যে কি নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের ইঙ্গিত?

একুশে বাংলা বিধানসভার নির্বাচন জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গতকাল পঞ্চম দফার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর তিন দফা নির্বাচন। তবে এই তিন দফা নির্বাচন বাকি…

Avatar

একুশে বাংলা বিধানসভার নির্বাচন জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গতকাল পঞ্চম দফার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর তিন দফা নির্বাচন। তবে এই তিন দফা নির্বাচন বাকি থাকার আগেও তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে। আজ রবিবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করলেন। তিনি তৃণমূলের “খেলা হবে” স্লোগানকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন।

আসলে চলতি সপ্তাহে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। দৈনিক সংক্রমণের সূচক ৮ হাজারের গণ্ডি স্পর্শ করেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো নির্বাচন কমিশনকে শেষ তিন দফা ভোট একদিনে করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যদিওবা নির্বাচন কমিশন তার অনুরোধ খারিজ করে দেয়। সেই সূত্র ধরে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, “বাকি তিন দফা ভোট একদিনে করার জন্য বারবার আবেদন করছে। কেন জানেন ওরা খেলা হবে বলে ভোট যুদ্ধে নেমেছিল। কিন্তু এখন বেগতিক বুঝে খেলার ময়দান ছেড়ে পালাতে চাইছে।” এছাড়াও দিলীপ ঘোষ আত্মবিশ্বাসী কন্ঠে বলেছেন, “পাঁচ দফা নির্বাচনে বাংলায় মোট ১৮০ আসনে ভোট হয়ে গেছে। এর মধ্যে বিজেপি ১২৫ এর বেশি আসনে জয়লাভ করবে।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি শেষ হয় তা বঙ্গবাসীর জন্য ভালো হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ নির্বাচন শেষ না হলে চলতে থাকবে জনসভা। হাজার হাজার মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মেলামেশা করবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস শেষ তিন দফা নির্বাচনে একদিনে করে এই ভোট যত তাড়াতাড়ি শেষ হয় তার চেষ্টা করেছিল। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে এই মুহূর্তে তাদের পক্ষে পূর্বনির্ধারিত সূচি পরিবর্তন করা সম্ভব না। আর অন্যদিকে বিজেপি চাই যাতে শেষ তিনদফা নির্বাচন আলাদাভাবেই হয়। তৃণমূল আবারও এই ইস্যু নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে। তারমধ্যে জল্পনা উস্কে আজ দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “আমরা যেভাবে চাইছি, সেভাবেই ভোট হবে।” দিলীপ ঘোষের এই কথা বিজেপির সাথে নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের তত্ত্বকে মজবুত করছে। সকাল থেকেই এই বক্তব্য ঘিরে সরগরম গোটা বঙ্গ রাজনীতি।