ব্রেকিং নিউজ: ২৪ ঘন্টার জন্য সায়ন্তন সুজাতার নির্বাচনী প্রচার ব্যান করল নির্বাচন কমিশন
দুই প্রার্থী রবিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা অব্দি প্রচার করতে পারবে না
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যে রাজ্যে পাঁচ দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাকি রয়েছে আরও তিন দফা নির্বাচন। নির্বাচন চলাকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের চাঁচাছোলা বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দিয়ে। তাকে প্রথমে শোকজ করা হয়েছিল এবং শোকজের উত্তর পছন্দ না হওয়ায় ২৪ ঘন্টার জন্য তার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে এবার মমতা রাহুল ও দিলীপের পর এবার নির্বাচন কমিশনের করলেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু ও তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল খাঁ।
আসলে বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সায়ন্তন বসু চতুর্থ দফা নির্বাচনে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানো নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “১ জনকে মারলে শীতলকুচির মত আরও ৪ জনকে মারা হবে। পরিষ্কার ভাষায় আমি সায়ন্তন বসু বলছি, খেলা যদি খেলতে চাও, তবে শীতলকুচির খেলায় খেলবো। সেদিন সকালে ১৮ বছরের আনন্দ বর্মনকে মেরেছিল। তারপর বেশি সময় লাগেনি। ৬ ঘন্টার মধ্যে ৪ জনকে বেহস্তের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর তাকে এই বক্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়েছিল।
আবার অন্যদিকে ভোটগ্রহণের পর আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল তপশিলি জাতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন। তিনি বলেছিলেন, “এই অঞ্চলের তপশিলিদের স্বভাব হচ্ছে ভিখারিদের মত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের জন্য এত কিছু করল, তাও নির্বাচনের সময়ে কিছু টাকার জন্য ওরা বিজেপির হয়ে গেল।” এই মন্তব্যের কারণে সুজাতাকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন।
এরপর আজ অর্থাৎ রবিবার নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ওই দুই প্রার্থীকে রবিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা অব্দি প্রচার করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের এখনো সিদ্ধান্তে যে দুজনে খুশি হয়নি তা বলা বাহুল্য। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে দুজনের শোকজের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। তাদের বক্তব্যের জেরে অশান্তি ছড়াতে পারে রাজ্যে। তাই তাদের ২৪ ঘন্টার জন্য প্রচার বন্ধ করা হয়েছে।