তৃতীয় দফায় ভ্যাকসিন পাবে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের সকলে, চালু হবে ১ লা মে থেকে
এবার থেকে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন খোলাবাজারে বিক্রি করতে পারবে
চলতি বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসলেও এপ্রিল মাসের শুরু থেকে লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সংক্রমণ। করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারত। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার জনের। করোনা ফের দ্রুত সংক্রমণ হওয়াতে আবার দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ জোরদার শুরু হয়েছে। এতদিন অব্দি ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বের সবাই টিকা নিতে পারত। তবে তৃতীয় দফা টিকাকরণে এই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী ১ লা মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এই ভ্যাকসিন নিতে পারবে।
এছাড়াও একটি বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। এতদিন শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালগুলোতে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যেত। তবে এবার খোলা বাজারে পাওয়া যাবে করোনা ভ্যাকসিন। জানানো হয়েছে কোন সংস্থা ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন খোলাবাজারে বিক্রি করবে। প্রস্তুতকারী সংস্থাকে সরকার নির্ধারিত দামে এই ভ্যাকসিন বিক্রি করতে হবে। মানুষ চাইলে নিজেই ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। এবার থেকে রাজ্যগুলিকে আর কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে হবে না। রাজ্য সরাসরি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন কিনতে পারবে। সরকারি হাসপাতালে গেলে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। বেসরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ করতে হবে মাত্র ২৫০ টাকা।
তবে অনেকেই বলেছে যে এই সিস্টেম চালু হলে তার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক আছে। ইতিবাচক হিসেবে মানুষের কাছে ভ্যাকসিন নেওয়াটা অনেক সহজলভ্য হয়ে যাবে। তবে সবার একটাই চিন্তা যে রাজ্য যদি সরাসরি প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে ভ্যাকসিন কেনে তাহলে আদৌ কি এত ভ্যাকসিনের যোগান দিতে পারবে সেরাম ইনস্টিটিউট বা ভারত বায়োটেক। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।