একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই ৫ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর বাকি ৩ দফা নির্বাচন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের জন্য রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরইমধ্যে পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন লাল ব্রিগেডের তরুণ তুর্কি ঐশী ঘোষ। তার বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন হরেরাম সিংহ এবং বিজেপির তাপস রায়। লাল শিবিরের ঐশী ঘোষ ২০১৮ সালে JNU ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন এন্ড এরিয়া স্টাডিজ এর এমএ পাস করেছেন। আসলে এবারে বাম শিবির গরম রক্তের তরুণ সম্প্রদায়কে ভোটযুদ্ধের মাঠে অবতীর্ণ করেছে। গত ১ লা এপ্রিল ঐশী ঘোষ নির্বাচন কমিশনের কাছে তার মনোনয়নপত্র পেশ করে।
বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হলে নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র পেশ করতে হয় এবং তার সাথে দিতে হয় একটি হলফনামা যাতে প্রার্থীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ উল্লেখ করতে হয়। ঐশী ঘোষের মনোনয়ন পত্রের সাথে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার কাছে নগদ ৫০০ টাকা আছে। সাবাসি তার ব্যাংকে সঞ্চয় হিসেবে আছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৭ টাকা। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই সিপিএম প্রার্থীর নামে কোন বন্ড, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা অন্য কোনো সঞ্চয় মাধ্যমে কোনো সম্পত্তি নেই। এছাড়া তার কাছে কোনো গাড়ি বা সোনার গয়নাও নেই।
হলফনামা অনুযায়ী ঐশী ঘোষ এর কাছে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১ লাখ ৮৩ হাজার ৮১৮ টাকা। অন্যদিকে ল্যাপটপ কেনার জন্য সে কিছুদিন আগে একটি ৩১ হাজার ৫০০ টাকার ঋণ নিয়েছিল। সেই ঋণের মধ্যে থেকে ৭ হাজার ৮৭৫ টাকা তার এখনও শোধ করা বাকি আছে। এছাড়া তার নামে কোনো স্থাবর সম্পত্তি নেই। হলফনামাতে এও উল্লেখ আছে যে ঐশীর নামে কয়েকটি ফৌজদারি মামলা চলছে।