“শেষ দুইদফা নির্বাচন একসাথে হবে না”, তৃণমূলের অনুরোধকে খারিজ করে জানাল নির্বাচন কমিশন
গতকাল ডেরেক ও'ব্রায়েন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে শেষ দুই দফা নির্বাচন একসাথে করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন
করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউতে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারত। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার জনের। করোনার এমন পরিসংখ্যান গতবছরেও ছিল না। গোটা দেশের পাশাপাশি সংক্রমণে জর্জরিত বাংলা। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে মাঝে বাংলায় করোনা আরও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। আসলে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে চলছে জনসভা ও রোড শো। আর তাতেই সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করে মেলামেশা করছে মানুষ। এর জন্যই বাংলায় করোনা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বাংলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে কলকাতায়।আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে বাংলায় সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১১ হাজার মানুষ।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কিছুদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছিল যাতে নির্বাচন কমিশন শেষ দুই দফা নির্বাচন একসঙ্গে করে দেয়। নির্বাচন হয়ে গেলে রোড শো বা জনসভা হবে না। আর তাতে মানুষের জমায়েত হবে না। নাহলে ভবিষ্যৎ বাংলার পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশেষজ্ঞরাই। তাই গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারী আরিজ আফতাবকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলেন তৃণমূল দলের মুখপাত্র তথা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। গতকাল তারা মুখ্য নির্বাচন আধিকারকের জন্য চিঠিতে লিখেছিল, “রাজ্যের মানুষের জীবন এবং জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভোটগ্রহণ একদিনে করুক নির্বাচন কমিশন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সবচেয়ে বড় দুটি ইস্যু হচ্ছে, নির্বাচন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অধিকার ও সেই সাথে জনস্বাস্থ্যের অধিকার।”
তবে আজ অর্থাৎ বুধবার নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে শেষ দুই দফা নির্বাচনে একসাথে করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারা জানিয়েছে, “নির্বাচন খুবই জটিল প্রক্রিয়া। শেষ বেলায় এসে আর একসাথে নির্বাচন করা সম্ভব না। তবে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্বাচন করানো হবে।” ইতিমধ্যেই করোনার জন্য নির্বাচন কমিশন ভোট প্রচার এর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এখন সন্ধ্যে ৭ টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা অব্দি ভোট প্রচার বন্ধ রাখতে হচ্ছে।