করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় আঘাতে অসহায় হয়ে পড়েছে গোটা ভারতবাসী। প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মাসের শুরু থেকে করোনার দৈনিক সংক্রমণ গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এমনকি শেষ ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ প্রায় ৩ লাখ গন্ডির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই অবস্থায় সেরাম ইনস্টিটিউট কেন্দ্র সরকারের নয়া নিয়ম অনুযায়ী গতকাল ঘোষণা করেছে যে তারা রাজ্য সরকারগুলিকে ভ্যাকসিনের ডোজপ্রতি ৪০০ টাকা নেবে এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলো ৬০০ টাকা নেবে। যদিওবা কেন্দ্র সরকার এই সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ১৫০ টাকা প্রতি ডোজ দরে ভ্যাকসিন কেনে। দামের এই বৈষম্য নিয়ে আজ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনার টিকা কেনার জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। তবে সেই সাথে তিনি বলেছিলেন, “কেন্দ্রকে ভ্যাকসিন দিয়েছে ১৫০ টাকায়। রাজ্যকে ৪০০ টাকায় দেবে সেরামিক। এটা কেন হবে? কেন এই বৈষম্য? এটা ব্যবসা করার সময় নয়। লোককে বাঁচাতে হবে আগে। এই বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দেবো। কেন্দ্রকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সব জনগণ করে নেবে বললে হয় না।” গতকালের পর আজ মমতা ফের টুইটে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এক দেশ, এক দল, এক নেতা বলে সর্বক্ষণ চিৎকার করে বিজেপি। এদিকে জীবন বাঁচাতে ভ্যাকসিনের এক দাম রাখতে পারছে না। বয়স, জাতপাত ও এলাকা ছেড়ে দিয়ে সকল ভারতীয়দের টিকা দেওয়া দরকার। কেন্দ্র বা রাজ্য যে টাকা দিক, ভ্যাকসিনের দাম ঠিক করে দেবে ভারত সরকার।”
আসলে গতকাল সেরাম ইনস্টিটিউট বলেছেন, “কেন্দ্র ছাড়া বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার ও বেসরকারী হাসপাতাল সরাসরি আমাদের থেকে কিনতে পারবে।” এছাড়াও দাম সম্বন্ধে তারা বলেছে, “রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন কিনতে গেলে প্রতি ডোজের জন্য তাদের দাম দিতে হবে ৪০০ টাকা। তবে বেসরকারী হাসপাতাল কিনলে তাদের দিতে হবে ৬০০ টাকা।”