করোনা আবহে শেষ দুই দফার জন্য ৪ শহরে ৫৬ সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি, মানা হবে করোনা বিধি
আগামী শুক্রবার মোদি তার ১৩ তম সফরে মোট ৪ টি সমাবেশ করবেন
করোনা আবহে সংক্রমণের গগনচুম্বী গ্রাফ দেখে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে ভোটমুখী বাংলার মানুষ। কিন্তু আতঙ্কে থাকলেও জোরকদমে চলছে একুশে বিধানসভা নির্বাচন। আজ ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রায় শেষমুহূর্তে এসে পৌঁছেছে এবং বাকি রয়েছে আর দুই দফা নির্বাচন। এই রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হচ্ছে কলকাতা শহরের মানুষেরা। প্রায় প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি মানুষ শুধুমাত্র কলকাতা থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সমর্থনে ভোটপ্রচার করতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী শুক্রবার মোদি তার ১৩ তম সফরে মোট ৪ টি সমাবেশ করবেন। তবে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে করোনা সংক্রমনের ভ্রুকুটি দেখে এবারে মোদির সভায় করোনা বিধি মেনে চলা হবে এবং সর্বাধিক ৫০০ জন মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মোদির ভাষণ শুনতে পারবেন।
আজ ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর বাকি দুই দফা নির্বাচনে মোট ৭১ আসনে ভোটগ্রহণ করা বাকি রয়েছে। এরমধ্যে ৫৬ আসনে প্রচারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মোট ৪ টি জনসভা করবেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদি ৪ সভায় শারীরিকভাবে ভাষণ দিলেও ভার্চুয়ালি জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে আরো ৫৭ টি সভাস্থল তৈরি করা হয়েছে। সেসব জায়গায় তিনি সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও তার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে জায়েন্ট স্ক্রিনে। এই সভাস্থলের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছে বিজেপি।
সপ্তম দফার নির্বাচনে কলকাতা শহরের কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাজবিহারী ও বালিগঞ্জ আসনে ভোট হবে। সেই অনুযায়ী আগে পরিকল্পনা ছিল যে ভবানীপুরের নর্দান পার্কে হবে মোদির সমাবেশ। তবে বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী মোদির জন্য শহীদ মিনারে মূল মঞ্চ বাধা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন ৫০০ জন শ্রোতা। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন এর মাধ্যমে একাধিক এলাকায় তার ভাষণ লাইভ সম্প্রচার করা হবে। আগে থাকতেই করোনা বিধি মেনে মোদির প্রত্যেকটি জনসভায় ২০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেককে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে নিজেদের কাছে।