শীতলকুচি ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাগদায়, তবে এবার কাঠগড়ায় রাজ্য পুলিশ
বিনা প্ররোচনায় হঠাৎ করেই রাজ্যপুলিশ কর্মীরা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব হয়েছে আজ। মোট ৪ টি রাজ্যের ৪৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এরই মধ্যে চতুর্থ দফা নির্বাচনের শীতলকুচি স্মৃতি উস্কে দিল আজকের বাগদা ঘটনা। বাংলার গণতান্ত্রিক উৎসবে ফের চলল গুলি। কিন্তু এবারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন ২ জন। আর তাতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার ৩৫ নম্বর বুথে সকাল থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। তবে দুপুরের দিকে ভোট চলাকালীন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের একদম কাছেই একটি খাবারের দোকানে জটলা করে গ্রামবাসীরা। তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে পুলিশ কর্মীদের সাথে বচসা বেঁধে যায় গ্রামবাসীদের। তারপরই অভিযোগ ওঠে পুলিশ আচমকা গুলি চালায়। সেই সময় গুলিবিদ্ধ হন ৩ জন। তাদের তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে আবার বিজেপি দাবি করেছে যে তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে রাজ্য পুলিশরা ১০ রাউন্ড গুলি চালায়। সেক্ষেত্রে জখম হয় ৭ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অশান্তির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তার তৎপরতায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এখানে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাই ওরা রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে যত্রতত্র। গুলি চলেছে ১০ রাউন্ড।”