নয়া গবেষণার চাঞ্চল্যকর তথ্য! করোনার নতুন স্ট্রেন বেশি সংক্রমিত হচ্ছে এই বয়সী লোকজনদের মধ্যে
তরুণরা এই করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মাথাব্যথা, লাল চোখ ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে
গত বছরের মার্চ মাস থেকে পৃথিবীর বুকে করোনা ভাইরাসের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ববাসী। চলতি বছরের শুরুতে করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও এপ্রিল মাসের শুরু থেকে ভারত ভূখণ্ডে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ দেশবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছে। আসলে কিছুদিন আগে এই করোনা তার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন নিয়ে ভারতে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণ হয়েছে প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি। সাথে মৃত্যুহার লাফিয়ে বাড়ছে। এই নতুন স্ট্রেনের সংক্রামক রোগ যেমন একদিকে বেশি ঠিক তেমনই এই স্ট্রেনে আক্রান্তদের প্রাণহানির সম্ভাবনা প্রবল থাকছে। এই সংক্রমণ ভারতের জন্য যে খুব ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে যে তরুণদের মধ্যে এই নয়া স্ট্রেন বেশি পরিমাণে সংক্রামিত হচ্ছে। ডায়াগনস্টিক ল্যাব জেনস্টেক্স ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ গৌরী আগারওয়াল জানিয়েছেন, “প্রবীনদের তুলনায় তরুণদের এই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে এই সংক্রমনের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তরুণ ছাড়াও শিশুদের মধ্যে এই নয়া স্ট্রেন বেশি সংক্রমিত হচ্ছে।” এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে তরুণদের মধ্যে এই সংক্রমণ হলে একটু অন্য ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে আছে লাল চোখ, মাথাব্যথা, গা হাত পা ব্যথা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইত্যাদি সমস্যা। অনেকের আবার এই সংক্রমণে জ্বর আসছে না। এই কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সরকার বর্তমানে টিকা নেওয়ার বয়সসীমা ১৮ ঊর্ধ্বের করে দিয়েছে।
এই নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী। এই করোনা খুব বেশি পরিমাণে সংক্রামিত হতে পারে। তাইতো এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশজুড়ে দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখের কাছাকাছি থাকলেও বর্তমানে তা প্রায় ৩ লাখের গণ্ডি স্পর্শ করার উপক্রম করছে। গত বছরেও এত পরিমান সংক্রমণ কোনদিন হয়নি। এই করোনা থেকে বাঁচতে গেলে প্রয়োজন ছাড়া জনবহুল এলাকায় যাওয়া যাবে না। এছাড়া সব সময় বাড়ির বাইরে গেলে মাস্ক পরে থাকতে হবে। কোন জনবহুল এলাকায় থাকলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। বারংবার স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
এছাড়াও নয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্র মুম্বাইয়ের পিডি হিন্দুজা ন্যাশনাল হাসপাতালে পরামর্শক জানিয়েছেন যে শিশুদের মধ্যে যাদের বয়স ১২-১৫ বছর তাদের এই সংক্রমণ খুব বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। শিশুদের জন্য এই দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মক হতে পারে।