করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে এবং এই মুহূর্তে ভারতে লাখো লাখো মানুষ প্রত্যেকদিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্মীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বজায় রাখার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দ্বারস্থ হলো স্টেট লেভেল ব্যাংকার্স কমিটি বা এসএলবিসি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ভূমিকা পালন করে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও দীর্ঘদিন ভালো হবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিয়ে আসছে সমস্ত ব্যাংক। কিন্তু, এবারে ব্যাংক কর্মীদের কথা চিন্তা করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সময় কমিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে এসএলবিসি। তারা জানিয়েছে এবার যেন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকে। অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য এই আর্জি কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়েছে এসএলবিসি।
মঙ্গলবার এই মর্মে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এসএলবিসি আহ্বায়ক এবং চীফ জেনারেল ম্যানেজার নবীন কুমার দাস চিঠি পাঠিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। এছাড়াও অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে চিঠি প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে। দুই সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করার পর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সময় বৃদ্ধি করার আশ্বাস দিয়েছেন এসএলবিসি পক্ষ। করোনা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে খুব খারাপ আকার ধারণ করছে সারাদেশে। ইতিমধ্যেই কিছু ব্যাংক তাদের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। কর্মীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সময় কমানোর আর্জি জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক।
এবারে তাদের এই আরজির বিষয়টি সম্মিলিতভাবে রাজ্য সরকারের কাছে উত্থাপন করলে এসএলবিসি কর্তৃপক্ষ। এই ব্যাংকিং পরিষেবার সময় কমানো প্রসঙ্গে, অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার কনফেডারেশনের সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেছেন, “আমাদের তরফ থেকে এসএলবিসি কাছে আগেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সরকারি দপ্তরে ৫০ শতাংশ কর্মীর হাজিরা নিয়ে গত ৭ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এসএলবিসি-র কাছে আর্জি রেখেছিলাম যেন ব্যাংকে কর্মিসংখ্যা কমিয়ে এবং ব্যাংকের পরিষেবার সময় কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হয়। বারংবার এই বিষয়টি নিয়ে এসএলবিসি কে আর্জি জানানোর পরে এবারে তাঁরা বিষয়টি সরাসরি উত্থাপন করেছে রাজ্য সরকারের কাছে।”