করোনার মাঝেই জমজমাটি বিয়েবাড়ি, বানচাল করলেন জেলাশাসক, ভিডিও ভাইরাল
করোনার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন প্রায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ মানুষের ওপর থাবা বসাচ্ছে
চলতি বছরের শুরুতে করোনা প্রকোপ অনেকটা কমলেও মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিন সংক্রমণ হার এবং মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনার নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন প্রায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ মানুষের ওপর থাবা বসাচ্ছে। করোনার এমন বাড়বাড়ন্ত দেখে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন চালু হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন রাজ্যে নাইট কার্ফু এবং আংশিক লকডাউন দেখা যাচ্ছে। তবে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও করোনার এই ভয়াবহতার মাঝে সাবধান হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। বারংবার প্রচার করা সত্ত্বেও প্রশাসনের কথা মানতে নারাজ ভারতবাসীরা। তবে এবার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য যে প্রশাসন কঠোর থেকে কঠোরতম হতে চলেছে তার প্রমাণ দিল গতকালের ত্রিপুরার একটি ঘটনা।
গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হচ্ছে যাতে দেখা গিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের এক জেলাশাসক খোদ নিজে নাইট কার্ফুর সময় টইলদারি করতে গিয়ে রাত্রি দশটার পর বিয়ে বাড়ি দেখতে পান। তিনি বিয়েবাড়িতে পুরো পুলিশ বাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে বিয়ে বানচাল করে দেন। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত আত্মীয়দের তিনি গ্রেফতার করার হুমকি দেন। বিয়ে বাড়ির পরিবার যখন জানায় যে তাদের কাছে অনুমতি পত্র আছে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে বিয়ে করার অনুমতিপত্র রাত ১০ টার আগে অব্দি দেওয়া হয়। ১০ টার পর বিয়ে বাড়িতে ভিড় করে তারা মহামারী আইন ভঙ্গ করেছে। এমনকি এই জেলাশাসক নতুন বর ও বউকে গ্রেফতার করতে আদেশ দেন।
ঘটনার পর জেলাশাসক জানিয়েছেন, “করোনা মহামারীর সময় গোটা দেশে এখন বিপদের মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সব শিক্ষিত পরিবার সবকিছু জেনেও আইন অমান্য করছে। এদের মনে হয় আইন কিছু করতে পারবে না। শিক্ষিত হওয়ার পর এমন কাজ খুবই দুঃখজনক। এই বিয়ে বাড়ি বানচালের মাধ্যমে আমি সবাইকে জানাতে চাই পুলিশ করোনা সংক্রমন রোধের জন্য এবার কঠোর থেকে কঠোরতম অব্দি হবে। আইন ভাঙ্গা চলবে না।”
গতকালের জেলাশাসকের বিয়ে বানচাল করার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে দাবানলের মত ছড়িয়ে যায়। অনেকেই ত্রিপুরার এই জেলাশাসকের কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে ত্রিপুরাতে প্রতিদিন ১০০ এর বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এত সংখ্যক লোক জমায়েত করে বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠান রাখা কোনভাবেই মেনে নেয়নি সাধারণ মানুষ। জেলাশাসকের কাজে তারা যে বেশ খুশি তা বলে দিয়েছে জনমত সমীক্ষা।