আগের বছরের তুলনায় এবছর করোনা আরো বেশি ভয়ঙ্কর। করোনার জেরে আজ বহু মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। বহু মানুষ আজ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে। ভারতে সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা এখন মহারাষ্ট্রে। করোনা একপ্রকার দেশে মহামারির আকার ধারণ করেছে। এই কারণে আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটেছে মহারাষ্ট্র। আর এই কঠিন সময়ে বলিউড তারকাদের অনেকে যখন বিদেশে গিয়ে ছুটি কাটাতে ব্যস্ত, তখন বহু বলিউড তারকা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন।
এদের মধ্যে অন্যতম হলেন সলমন খান। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পথে নেমে পড়েছে সলমন খানের সংস্থা ‘বিইং হিউম্যান’-এর খাদ্য সরবরাহকারী গাড়ি। দিন দিন যে হারে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এই কারণে কারণে স্বাস্থ্যকর্মীরা নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। করোনার মহাতান্ডবে দিনরাত এক করে লড়াই করছেন পুলিশকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, বিএমসি কর্মী, সাফাইকর্মী সহ আরও অনেকে। নেই বিশ্রাম নেওয়ার, খাওয়ার সময়। এই খারাপ সময়ে লকডাউন যত দিন চলবে ভাইজান’স কিচেনের তরফ থেকে খাবার দেওয়ার কাজ। সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়ার আগে সব খাবার ঠিক আছে কিনা সেটা তিনি দেখে নিচ্ছেন।
করোনার বাড়বাড়ন্তে কারণে ফের লকডাউন মহারাষ্ট্রে। এই সময় বন্ধ রয়েছে সিনেমার শ্যুটিং। এর জন্য বেশি সমস্যায় পড়েছেন সিনেমার সেটের টেকনিশিয়ান, স্টান্টম্যান, মেকআপ আর্টিস্ট, স্পটবয়রা। ক্যামেরার পিছনে এই মানুষগুলি প্রতদিন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করে টাকা উপার্জন করেন কিন্তু সেই সব ব্যক্তির আয় পুরোপুরি বন্ধের পথে। এবারে বলি ইন্ড্রাস্টির কর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন ভাইজান নিজে। ২৫ হাজার কর্মীকে ১৫০০ টাকা করে অর্থ সাহায্য করতে চলেছেন সকলের প্রিয় ভাইজান।
ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়ান সিনে এমপ্লয়িজ-এর সম্পাদক বি এন তিওয়ারি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা যে সমস্ত কর্মচারী এই মহামারিতে অর্থিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের একটা তালিকা অভিনেতকে পাঠিয়েছিলেন। সলমন সকলকে টাকা পাঠাতে রাজি হয়েছেন। জানা গিয়েছে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫০০ টাকা করে পাঠাবেন তিনি। প্রত্যেক মাসেই তিনি এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ভাইজানের তরফ থেকে শুরু করা হয়েছে একটি হেল্প লাইন নম্বরও। যদি কেউ এই সময়ে বিপদে পড়ে যাতে কেউ কোথাও ফোন না পেলে সোজাসুজি সেই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারে। অভিনেতার এই উদ্যাগ দেখে অনেকেই প্রশংসা করেছেন।